বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুর্নিঝড় আম্পান এর আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য প্রদান।

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২০

বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুর্নিঝড় আম্পান এর আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য প্রদান।

শফিউর রহমান কামাল বরিশাল ব্যুরোঃ

বরিশাল জেলায় ঘুর্নিঝড় আম্পান আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক আজ ২১ মে বৃহস্পতিবার বিকাল ৬ টায় জেলা প্রশাসক বরিশাল কতৃক প্রাথমিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ চলমান আছে। জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম অজিয়র রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ১০৭১ টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহনকারীর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩ জন। আজ দুপুর নাগাত আশ্রয়কেন্দ্র থেকে আশ্রিতরা নিজের বাড়ি ঘরে ফিরছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ও শুকনো খাবারের সরবরাহ করা হয়েছে। আশ্রয়গ্রহণকারী মানুষের অবস্থান আনন্দমুখর করার জন্য খিচুড়ি রান্না এবং বিভিন্ন খাবার পরিবেশন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঘুর্নিঝড়ে বরিশাল জেলায় জেন প্রাণহানিন ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলমান রয়েছে। বরিশাল জেলায় ফসলের ক্ষতি কিছুটা হয়েছে যেমন, ফসল ৪২০৯ হেক্টর, সবজি ১৮৮৪ হেক্টর। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। ১৬ হাজার ৩২০ টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতি হয়েছে এবং সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে ৮ হাজার ১৬০ টি ঘর। বাঁধের ক্ষতি আংশিক বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ মিটার। বিভিন্ন বেড়ীবাধ সার্বক্ষনিক নজরদারীর মধ্যে রাখা হয়েছে। কাঁচা রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে ১২৮০ কিলোমিটার। এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ১০ লক্ষ টি ছোট বড় গাছের আংশিক ও সর্ম্পুণ ক্ষতি হয়েছে। এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এর ফলে মৎস্য ঘের ও পুকুর ক্ষতি হয়েছে। চিংড়ির ঘের ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, মাছের খামার ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার এবং অন্যান্য ৪৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রাণী সম্পদের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অন্যান্য হাঁস মুরগী ৯১৫ টি এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান, স্কুল ১৫ টি, কলেজ ৪ টি, মাদ্রাসা ১ টি, প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি হয়েছে ৭৫ টি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৫৮ টি মন্দির ২৭ টি এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। জরুরি ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রয়েছে। হালনাগাদ তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে সকলের মাঝে তুলে ধরা হবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest