নোয়াখালীর সেনবাগে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মানব সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন,কামাল উদ্দিন মিঁয়াজী!!

প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২০

নোয়াখালীর সেনবাগে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মানব সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন,কামাল উদ্দিন মিঁয়াজী!!

ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নিজ ইউনিয়ন সহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নিঃস্বার্থ ভাবে মানবসেবা ও শিক্ষার মানউন্নয়নে দীর্ঘ ৮ বছর যাবত নিরলস শ্রম ও অর্থ প্রদান করে মানব সেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী মোঃ কামাল উদ্দিন মিঁয়াজী। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান এবং ঐ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন মিয়ার সুযোগ্য পুত্র।
ব্যক্তি জীবনে মোঃ কামাল উদ্দিন মিঁয়াজী একাধারে একজন সফল প্রবাসী, ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক,রাজনীতিবিদ, দানবীর ও শিক্ষানুরাগী। তিনি সেনবাগের শের -ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় বহুতল বানিজ্যিক ভবন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, ঢাকার তেঁজগাও রেলওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা, ফেনী সোনাগাজীর দারুল উলুম আল হোছাইনিয়া মাদ্রাসা এবং নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য ও
ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতির আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি জানান, মানব সেবা করতে কোন পদ-পদবীর প্রয়োজন নেই। সেবা করার চিন্তা ভাবনা ও ভালো মন মানসিকতাই যথেষ্ট।

নিজ জন্মভুমি মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন ও সেনবাগের মানুষের প্রতি তার প্রগাঢ় ভালোবাসার কারনেই দীর্ঘদিন যাবত তিনি শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গরীব দুঃখীদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, বারবার নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মাঝে স্থান করে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পদ পদবীর বাহিরে থেকে ও সম্পুর্ন নিজ অর্থায়নে তিনি দীর্ঘদিন যাবত সমাজসেবা করে এসেছেন।
মোঃ কামাল উদ্দিন মিঁয়াজী ২০১৩ সালে তৎকালীন সেনবাগের ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বিএসসি’র মাধ্যমে নিজ অর্থায়নে ১০জন হতদরিদ্রকে নিজ ইউনিয়নে ১০ টি রিক্সা প্রদান ও শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ৩০জন হত দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান করেন।

২০১৪ সালে শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬জন ও মোহাম্মদ পুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০জন হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান,
শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পানি প্রাণের জন্য নিজ অর্থায়নে ১ টিউবওয়েল বসানো এবং বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষের জন্য ১২টি সিলিং ফ্যান প্রদান করেন।

২০১৫ সালে শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০জন হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান করেন।

২০১৬ সালে শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০জন হতদরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান, ৩৫জন হতদরিদ্র জেএসসি পরীক্ষার্থীর ফিস ও ফরম ফিলাপের টাকা প্রদান করেন।

২০১৭ সালে শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০জন হতদরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীর পুরো বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস প্রদান, ৫০জন হতদরিদ্র জেএসসি পরীক্ষার্থীর ফিস ও ফরম ফিলাপের টাকা প্রদান করেন।২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে গোল্ড মেডেল, রৌপ্য মেডেল,ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান ও ৭নং মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কক্ষের জন্য ১০ টি স্টীলফোমের চেয়ার প্রদান করেন তিনি।

২০১৮ সালে শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৩জন হতদরিদ্র জেএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ফিস ও ফরম ফিলাপের টাকা প্রদান। ২০১৭ সালে শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় হতে কৃতকার্য হওয়া ১৭২জন ছাত্র-ছাত্রী ও নবীপুর উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসিতে কৃতকার্য হওয়া ৮৯ জন ছাত্র-ছাত্রীকে গোল্ড মেডেল, রৌপ্য মেডেল, ক্রেষ্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।পাশাপাশি ঐ দুই বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান গুলোতে উপস্থিত সকল অতিথি দেরকেও ক্রেষ্ট প্রদান করেন তিনি।
২০১৯ সালে নবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচিত স্টুডেন্ট ক্যাবিনেটের ৮জন সদস্য, মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮জন সদস্য ও শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮জন সদস্যকে মেডেল প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করেন এই শিক্ষানুরাগী। নবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হিসেবে বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নগদ ২ লক্ষ টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে জমা প্রদান করেন। নোয়াখালীর মাইজদী সদরে অবস্থিত মডেল স্কুলের আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।দক্ষিণ রাজারামপুর হোসেন আলী মিঁয়াজী বাড়ী জামে মসজিদে কোন প্রকার চাঁদা কালেকশন ছাড়াই সম্পুর্ন নিজ উদ্যোগে ও অর্থায়নে প্রতিবছর ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন তিনি।

২০২০ সালে চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতংকে ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে ও ৮ নং বীজবাগ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের গৃহবন্দী কর্মহীন অসহায় মোট ৪৫০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।শেরই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেটে তার মালিকানাধীন ২টি দোকানের ভাড়াটিয়াদের এপ্রিল ও মে মাসের দোকান ভাড়া মওকুপ করে দেনএই সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী,দানবীর মোঃ কামাল উদ্দিন মিঁয়াজী।
তাঁর একটাই ভীষন এবং মিশন তিনি যেন ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেবা করে যেতে পারেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest