ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২০
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ধর্ষণচেষ্টা, শ্লীলতাহানি ও ভিডিওর ঘটনায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১ । এ সময় তার কাছ থেকে ১ টি অস্ত্র, ১ টি ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। চাঞ্চল্য এ ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের
আদমজী নগর র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে র্যাব ১১ ‘র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম ( পিবিজিএম) জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারকে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগং রোড থেকে ৫ অক্টোবর রাত ২.৩০ টায় গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেন ওরফে বাদলকে রোববার ভোর সাড়ে ৫ টার সময় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর
ফাঁড়ির গলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত,গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এর পর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। সেটি ছড়িয়ে দেন ইন্টারনেটে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকেন। তিনি প্রাণপণ নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেননি। বরং হামলাকারীরা তার মুখে ও শরীরে লাথি মারেন। এর পর তার শরীরে একটা লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চিৎকার করে আরেকজন।
এদিকে এ ঘটনার পর অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিত গৃহবধূর পরিবারকে কিছু দিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে তারা পুরো পরিবারকে বসতবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেন। এ কারণে ঘটনাটি স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থাকে।
তবে ওই ভিডিওচিত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার গৃহবধূকে নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় রোববার রাতেই মামলা দায়ের করেন।##
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST