ঢাকা ৮ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২০
রিফাত আহমেদ রাসেল, নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় একের পর এক ঘটেই চলছে পাশবিক ঘটনা। কেন্দুয়া উপজেলার কওমী মাদ্রাসার সুপার কতর্ৃক ধর্ষণেৃর শিকার হয়ে অন্তঃসত্তা ৫ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে গর্ভপাত করাতে নানা কৌশল। অবশেষে শিক্ষাথীটি অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে বর্তমানে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা সুপার আঃ হালিম সাগর (৩৫) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর থেকে স্বপরিবারে এলাকা থেকে পলাতক সেই সুপার।
নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালের ওসিসি সূত্র ও অভিযোগকারীরা জানান, শিশুটি রোয়াইল বাড়ি কওমী মহিলা মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেণিতে পড়তো। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার ২ সন্তানের জনক আঃ হালিম সাগর (৩৫) গত প্রায় চারমাস পূর্বে ধর্ষন করে। এই ব্যাপারে কাউকে না বলতে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে। পরবতর্ীতে মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হলে সুপার তাকে গত দুমাস পূর্বে কৃমি নাশক ট্যাবলয়েড খাওয়ান। পরবতর্ীতে গত পরশুদিন পুনরায় শিশুটিকে কলা খাওয়ালে তার গর্ভপাত ঘটে। এরপর থেকে মেয়েটির অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ শুরু হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হলে প্রথমে পাশ্ববতর্ী কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায় ও পরে গত রবিবার রাতে নেত্রকোনা আধুনিক সদর্ হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
পরবতর্ীতে সোমবার সকালে ডাক্তার এবং ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং হাসপাতলের নারী বান্ধব পর্যক্ষেক্ষকরা কাউন্সিলিং শুরু করেন। শিশুটির মা গত চারবছর পূর্বে মারা যাওয়ায় বাবা ও বড় বোনই তাকে লালন পালন করছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা কেন্দুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে অভিযুক্ত সুপার এলাকা থেকে পলাতক রয়েছে। ওই সুপার জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের চর আমতলা কোনাবাড়ী গ্রামের ফারুখ মিয়ার ছেলে আঃ হালিম সাগর। তিনি কয়েক বছর আগে রোয়াইলবাড়ী বাজার সংলগ্ন একটি কওমী মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে সুপারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার এস এম এ সেলিম জানান , তারা ভিকটিম সাপোর্টে কাজ করে যাচ্ছেন।
হাসপাতলের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অরএমও একরামুল হাসান বলেন, তারা সার্বক্ষণিক পর্যব্ক্ষেণ করছেন। শারিরীক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো আছে। এছাড়া মানসিক অবস্থার জন্য কাউন্সিলিং করছেন।
কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ততে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতরাত থেকে বাড়ী ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST