কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক আত্রাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আলু চাষ

প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক আত্রাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আলু চাষ
মোঃফিরোজ হোসেন নওগাঁ প্রতিনিধি: উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার আলু চাষিরা এবার আলুর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা প্রকৃতিতে আত্রাই উপজেলায় চলতি রবিশষ্য মৌসুমী এবার আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে । উপজেলার প্রতিটি মাঠজুড়ে এখন শুধু সবুজ রং এর চোখ ধাঁধাঁলো বর্ণীল সমারোহ। এ বছর বন্যা না হওয়ার কারণে রোপা-আমন ধান কাটার সাথে সাথে রবিশষ্যর উপযোগি চাষযোগ্য জমিতে কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। সরকার পর্যায় থেকে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণসহ রাসায়নিক সার বিনা মূল্যে যথাসময়ে বিতরণ করায় এই উপজেলার কৃষকদের আগাম আলু লাগানো সম্ভব হয়েছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে ।কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। এবার চলতি রবিশস্য মৌসুমী কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং আলু চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় আলুর পাশাপাশি সরিষা, গম ও ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে । কৃষি অফিস সূএে জানা যায়, চলতি রবিশস্য মৌসুমী এবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ২ হাজার ৮শত ৯০ হক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে মাঠ পর্যায়ে আলু চাষীদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরী সহযোগিতার কারণে আলুক্ষত অনকটা রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা । উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া , মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্র জানা গেছে। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি এ বছর ৫বিঘা জমিত আলুর চাষ করেছি। হিমাগারে কিছু বীজ রেখছিলাম আর বাঁকিটা কিনে জমিতে রোপণ করেছি। আলু গাছ ভালা হওয়ায় মনে হচ্ছে এবার আলুর আশানুরুপ ফলন পাব। দাম ভাল হলে বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে পুরোদমে ইরি-বোরা চাষ করতে পারবো। বজ্রপুর গ্রামের কৃষক মেহেদি হাসান রুবেল জানান, দুর্যোগ ও রোগবালাই না থাকায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলন পাবো বলে আমি আশা করছি। ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফি উদ্দিন আহম্মদ বলেন, শুরুতেই আলুর খেতে নানা ধরনের পোকা-মাকড়ের আনাগোনা দেখা দিলেও মাঠ পর্যায়ে আমরা কৃষকদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরী সহযাগিতা দিয়ে আসছি। বর্তমানে আলু ক্ষতে প্রায় শতভাগ রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছি। আত্রাই উপজলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসন বলেন, এবার আত্রাই উপজলার ৮টি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় সবচেয় বেশি পরিমাণ আলু চাষ হয়েছে। যথা সময়ে জমি চাষযোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে আলুর আবাদ করেছে। আলুর রোগ দমনসহ কৃষকদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest