ঢাকা ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২০
গোলাম মোস্তফা খান খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার ভূমি কখন সৃষ্টি হয়েছিল তার সুনির্দিষ্ট কোন ইতিহাস নেই। তবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল বা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মত প্রাচীন নয় । কেননা এ অঞ্চল নিম্ন গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের একটি সক্রিয় অংশ। মূলত বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত ভাগিরথি ও পদ্মার শাখা নদীসমূহ বাহিত পলিমাটি দ্বারা এই ভূখন্ডের সৃষ্টি। ১৯৬১ সালের জরিপে বৃহত্তর খুলনা জেলার আয়তন ছিল ১০ হাজার ৪৫৬ বর্গ কিলোমিটার।
খুলনা নামকরণ নিয়ে একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। তবে জনশ্রুতি রয়েছে, প্রচীনকালে এই অঞ্চলটি সুন্দরবন ছিল। মধ্যযুগ থেকে ক্রমান্বয়ে বন কেটে জনবসতি বিস্তার লাভ করে। তাই এর প্রথম নামকরণ ছিল ‘নয়াবাদ’ বা ‘নুতন আবাদ’ । এই নয়াবাদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রূপসা পূর্ব পাড়ের একটি আভ্যন্তরীন নদী বন্দর । যেখানে বাণিজ্যিক পণ্য নিয়ে জলযানগুলো আসা যাওয়া করত। যেহেতু নয়াবাদ ছিল বসতির শেষ সীমানা এবং তারপরই বন শুরু। তাই দিন শেষে নৌকার বহর নয়াবাদের পাশেই নোঙ্গর করে রাত্রি যাপন করত । কারণ রাত্রে সাধারণত মাঝিরা নৌকা খুলতে সাহস পেত না।
একবার ভয়ংকর ঝড়ে রাতে মাঝিরা যখন নিরাপদ স্থানে যাবার জন্য নৌকা খুলতে গেল তখনই বন জঙ্গলের মধ্য হতে অদৃশ্য আওয়াজ এলো ‘ খু-লো -না ’, ‘খু –লো –না’ । অর্থাৎ নৌকা খোলা যাবে না। সেই খু-লো -না আওয়াজের স্মরণ করেই খুলনার নাম প্রচলিত হয়েছে। অনেক ইতিহাসবিদও তা-ই মনে করেন। আবার অনেকের মতে ‘খুল্লনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে ফল মাউথ নামের একটি সমুদ্রগামী জাহাজ পশুর নদীর দক্ষিণে ডুবে যায় । জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার অভিযানের রেকর্ডে এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাগজপত্রে কুলনা [ CULNA ] নামের উল্লেখ পাওয়া যায় । ১৭৬৪-৭২ খ্রিস্টাব্দে জেমস রেনেলের মানচিত্র যশোর-কুলনা [JESSORE – CULNA ] উল্লেখ রয়েছে।
১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ২৪ পরগনার বারাসাত জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেসি ভেঙ্গে সাতক্ষীরা মহকুমা তৈরি করা হয়। তারপর ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে বাগেরহাট একটি স্বতন্ত্র মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশেষে যশোর জেলার খুলনা ও বাগেরহাট মহকুমা এবং ২৪ পরগনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা নিয়ে খুলনা জেলা গঠন করা হয়। ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে ২৫ এপ্রিল এ গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই বছরের ১ মে থেকে তা কার্যকর হয়। এইভাবে ১৮৮২ সাল থেকে খুলনা স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।
খুলনায় দর্শনীয় স্থান গুলি এখানে লেখা হলো, ১) সুন্দরবন: সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বনভূমি সুন্দরবন। অববাহিকার সমুদ্রমূখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত ২) দক্ষিণডিহি: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূণ্যস্মৃতিবিজড়িত স্থান দক্ষিণডিহি। ফুল, ফল আর বিচিত্র গাছগাছালিতে ঠাসা সৌম্য-শান্ত গ্রাম দক্ষিণডিহি। ৩)বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – এর পূর্ব পুরুষের নিবাস খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে। ৪)বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (পি,সি,রায়) – এর জন্মভূমি। ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী রাড়ুলীতে স্যার পি.সি. রায় জন্ম গ্রহণ করে ছিলেন। ৫)খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রাম কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জন্মস্থান। ৬)শিরোমণি: মুক্তিযুদ্ধে খুলনার বীরত্বগাথার স্মৃতিবিজড়িত আরেকটি স্থান শিরোমণি। এখানে একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়েছে। ৭)বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধিসৌধ ৮) মুক্তিযুদ্ধের বেদনাবহ গণহত্যার স্মৃতিবিজড়িত স্থান চুকনগর ও গল্লামারী।
খুলনার বিখ্যাত খাবার !
১) মেগার বিফ ও চিকেন বিরানি,
খালিশপুর মেগার মোড় বললেই
চিনবে সবাই। খুলনার শ্রেষ্ঠ
বিরানি বললে ভুল হবে না।
২) চুক নগরের খাসি, সাতক্ষীরার
বাসে উঠে বলবেন চুকনগর, নেমেই
সামনে দেখবেন আব্বাসের হোটেল।
৩) জিরো পয়েন্টের গরু ও খাসি,
চুকনগরের খাসির ছোট ভাই।
৪) পিটিআই মোড়ের মিনি চাইনিজ,
চাইনিজ প্যালেস। অনেকেই ভালো বলেন,
তবে আমার মোটামুটি মানের মনে হয়েছে।
৫) নিউমার্কেটের মালাই চা
৬) নিরালা ১ নং রোডের মাথায়
পরাটা আর গরুর (ভুড়ি) রোল।
৭) খুলনা জর্জকোটের ভিতরে দত্তের
হোটেল, বাংলা কুইজিনের জন্যে এখনও
পর্যন্ত বেষ্ট।
৮) সেফ এন সেভের ফালুদা
৯) নিউমার্কেটের ছোট দোকানের ফুচকা
১০) নেভি গেটের তৃপ্তি হোটেলের
ছানার জীলাপী
১১) শিল্প ব্যাংক ভবনের
পেছনে ফারুক ভাইয়ের হোটেল, ঝাল
সমৃদ্ধ রান্না
১২) পিকচার প্যালেসে আপ্যায়ণের
হালিম ও মোগলাই
১৩) কাচ্চি ঘরের কাচ্চি বিরানি
১৪) ক্যাসল সালামের ফালুদা,
আইস্ক্রিম সমৃদ্ধ।
১৫) মিনা বাজারের পাশে গোলামের পুরি
১৬) মান্নানের চটপটি ও ফুচকা
১৭) কুয়েট এর পিছনে বাবার দোয়ার
মোরগ পোলাও ও মুড়ি মিক্সার
১৮) ফ্রেন্ডস কর্নার, জেলা স্কুলের
পাশে, স্নাক্সের জন্যে অসাধারন।
১৯) দৌলতপুর হারুন হোটেলের খাসীর
মাংস।
২০) রিজিক রেস্টুরেন্টের ২০০ টাকার
চাইনিজ সেট ম্যেনু
২১) সিটি ইনের চিকেন কর্ণ স্যুপ
২২) খুলনা ভার্সিটির ফলের জুস
২৩) খুলনা মেডিকেলের সামনে চাচার
পুরি
২৪) সেফ এন সেভের কোল্ড কফি
২৫) ট্র্যাক স্ট্যান্ডের ইলিশ-গোশত
২৬) ঘোষ ডেয়ারির রসমালাই,
করনেসনের পাশে
২৭) ময়লাপতা মোড়ের চিকেন গ্রিল।
২৮) সাত রাস্তা মোড়ের দুলাভাইর
তেহারি।
২৯) সাত রাস্তা মোড়ের বিফ
৩০) গরিব নেওয়াজের পাশে আলুপুরি
৩১) সাতরাস্তা মোড়
থেকে ভিতরে নিরামিষ শিঙ্গাড়া
৩২) ময়লাপতা মোড়ের ফারুকের চাপ
৩৩) বি এল কলেজের ঝাল মুড়ি
৩৪) বি এল কলেজের সামিম হোটেলের
শিঙ্গাড়া
৩৫) কান্ট্রি লাউঞ্জের কিং বার্গার আর American Chopsuey।
৩৫) ক্যাফে গুনগুনের চিকেন শর্মা ও
ব্ল্যাক ফরেস্ট
৩৬) জেস্কোর কাবাব, হালিম, পরোটা,
মোগলাই পরোটা
৩৭) বারোবাজারের ইন্দ্র মোহনের মিষ্টি।
৩৮) ফেরিঘাট মোড়ের লাল চা ।
৩৯) Burger King এর Mutton Pizza।
৪০) সাহেব এর কবর খানার দুধ চা ওরফে ফান্টু চা
৪১) খুলনা মেডিকেল এর সামনে সিদ্দিকের লেবু চা।
৪২) KU এর ভেতরে তপন এর চা আর সিদ্দিক ভাই এর জুস ।
৪৩) সাত রাস্তার মোড়ের মিষ্টি পান ।
৪৪) Cornation এর Opposite এ Hot Heart কাবাব এ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST