রামগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে র্ধষন

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২০

রামগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে র্ধষন

শাহে ইমরান, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ রামগঞ্জে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে দরবেশপুর গ্রামের নোয়া বাড়ির মৃত আ. রশিদের বখাটে ছেলে আরিফ হাসানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার (২০ এপ্রিল) ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ দায়ের করেন । রামগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব দরবেশপুর গ্রামের লক্ষীপুর সরকারী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রীর সাথে মধ্য দরবেশপুর নোয়া বাড়ির মৃত আঃ রশিদের বখাটে ছেলে কাতার প্রবাসী আরিফ হাসানের সাথে দীর্ঘ চার বছর থেকে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। এরই মধ্যে আরিফ হাসান চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে আসে। আসার পর থেকে বিভিন্ন সময় আরিফ হাসান ওই কলেজছাত্রীকে শাররিকভাকে মেলামেশা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু কলেজ ছাত্রী বারবার তা প্রত্যাক্ষান করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরই মধ্যে গত ৮মার্চ আরিফ বিয়ের করার কথা বলে ওই ছাত্রীকে চাঁদপুর হয়ে লঞ্চ যোগে ঢাকার কমলাপুরে সিটি প্যালেস হোটেলে নিয়ে যায়। ওই সময় লঞ্চে ও হোটেলে দফায় দফায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিন্তু ৯মার্চ সকালে বিয়ে করার কথা থাকলেও আরিফ হাসান তাকে বিয়ে না করে সোজা সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে এনে জোরর্পূক গাড়িতে তুলে দিয়ে দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে এলাকার লোকজনদের জানায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় শালিশ রহমত উল্যা, মামুন মাষ্টার, আবুলশ কাশেম, জহির,আরমান,জসিম দফায় দফায় শালিশীর বৈঠকের নাম করে কালক্ষেপন করে এবং ধর্ষককের জরিমানা করে চেড়ে দেওয়ার দিদ্ধান্ত দিলে কলেজছাত্রী তা প্রত্যাক্ষান করেন।
ধর্ষিতা কলেজছাত্রী বলেন, শিক্ষিত মেয়ে হিসেবে আমি সবসময় সতর্ক ছিলাম। কিন্তু লঞ্জে উঠার পর সে আমার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে বলে সদরঘাট নেমেই বিয়ের কাজ সেরে ফেলার কথা বলে কয়েকবার শাররিক মেলামেশা করে। সদরঘাট গিয়ে বলে হোটেলে উঠে তারপর বিয়ে করবে। এভাবে আরিফ যে আমার সাথে বারবার এমন প্রতারনা করবে তা কখনো ভাবিনি। এছাড়াও শালিশরা বিয়ে পড়ানো সহ সমাধানের কথা বলে বারবার কালক্ষেপন করে আমাকে তাৎক্ষনিক চেকআপের জন্য হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে দেয়নি।

অভিযুক্ত ধর্ষক আরিফ হাসান মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের আলোকে নারী শিশু নির্যাতন আইনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest