আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা প্রতিনিধি
কর্মহীন হয়ে আছে কয়েক হাজার হোটেল মোটেল, রেস্তরা, ট্যুরিস্ট বোট, ইলিশ পার্ক, মার্কেটের দোকানের স্টাফ , বিচ বাইক, মটরসাইকেল, ক্যামেরা ম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। কুয়াকাটা সাথে সারাদেশে লকডাউন থাকার কারণে অনেকটা অলস বেকার জীবন চলছে এসব শ্রমিকদের, কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে জীবন যাপন করতে শুরু করেছে, কারণ এসব শ্রমিকদের পরিবার নির্ভরশীল ছিল দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকদের উপারে, যারা পর্যটকদের সেবা, আনন্দ, মতাদের স্মৃতির ফ্রেমে তৈরি করে পোশাক থেকে শুরু করে তাদের নাম ঝিনুকে লিখে হাতে তুলে দেওয়া, এখন সেইসব পরিবারগুলো কষ্টে দিন চলে আসছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আসেনি কোন সহায়তা ,এই দুর্ভোগের সময় পাইতেছেনা কোন সাহায্য,শত অভাবে থাকা সত্বেও তারা লজ্জায় মুখ খুলতে পারছে না।ত্রানের খাতাও নাম নেই এদের। সরকারী ভাবে কোন সহযোগিতা এখন পর্যন্ত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব (টোয়াক) নেতৃবৃন্দ।খোঁজ নিয়ে জানা যায় ১৭ মার্চ শুরুতেই ১০ দিন আগে দোকান, হোটেল, থেকে শুরু করে পর্যটনের আওতায় যেসব কার্যক্রম চলত সব বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসক। কর্মযজ্ঞের প্রাণঘাতী করোনার থাবায় মার্চের ১৭ তারিখ বন্ধের পরে কর্মচারীদের মালিক পক্ষ সবাইকে ছুটি দিয়ে দেয়। এর কিছুদিন পরই নিরুপায় হয়ে পড়ে এই পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত থাকা শ্রমিক গুলো।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ জনি আলমগীর জানান, গত মাসের বেতন দিয়ে আমাদের ৫৪ জন স্টাফ ও মাঝিদের বিদায় দেই প্রায় দুই মাসের কাছাকাছি চলছে যে লকডাউন এরমধ্যে দূর্ভোগে পড়ছে এই পরিবারগুলো, স্টাফ ও মাঝিরা বলেন এখন পর্যন্ত কোন সরকারি সাহায্য হাতে পায়নি লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারিনা।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পর্যটন জোটের মহাসচিব মোখলেছুর রহমান জানান—আমাদেও ৬ আন্দোলনের এটি হলো ৩ দফা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে আমার দাবি করছি অফিস খুললে খুব দ্রুত ভালো একটা ফলাফল আমাদের জানাবে।