কোম্পানীগঞ্জে ভয়াবহ লোডশেডিংঃজনজীবনে মহা অশান্তি

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২০

কোম্পানীগঞ্জে ভয়াবহ লোডশেডিংঃজনজীবনে মহা অশান্তি

বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি

 করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে মানুষ ঘরেই থাকছেন কিন্তু ঘরে থাকাকে দুর্বিষহ করে তুলছে কোম্পানীগঞ্জের বিদ্যুৎ বিভাগ। অনেক এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন, প্রায় প্রতিদিনই লোডশেডিং হচ্ছে। 

করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ী-ঘরে অবস্থানের সময় এই ভোগান্তি মেনে নিতে পারছেন না তারা। গত বেশ কয়েকদিন ধরে এই সমস্যায়  হাজারো গ্রাহক।

চরকাঁকড়া  ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান  জাহিদ জানান, “এভাবে যদি চলে জনগণের কি হবে, আমি একজন অসুস্থ মানুষ সারাদিনই থাকতে হয় ঘরে এর মধ্যে যদি বিদ্যুৎ নিয়ে এতো লোডশেড়িং করে তাহলে বাঁচবো কিভাবে”। 

আগে এমন হয়নি হলেও সামান্য সময়ের জন্য লোডশেড়িং হতো কিন্তু এখন প্রায় প্রতিদিনই বিদ্যুৎ যাচ্ছে। প্রথমে আমি এটাকে যান্ত্রিক ত্রুটি ভাবলেও এখন মনে হচ্ছে লোডশেডিং। কারণ, প্রতিদিন তো আর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ যায় না।

চরফকিরার ফখরুদ্দিন (স্কুল শিক্ষক) জানান, “প্রায় প্রতিদিন কম করে হলেও কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আগে এমন ছিলোনা। অল্প কয়েক মিনিটের জন্যে গেলেও এত খারাপ লাগতো না। এখন ঘরে বসে আছি। এরপর আবার গরমও পড়ছে এখন ভোগান্তি হচ্ছে এটা আসলে আমাদের সাথে কোম্পানীগঞ্জের বিদ্যুৎ বিভাগ নাটক করতেছে আর কার কাছে বলবো দেখার তো কেউ নেই “।    

একই অভিযোগ করেন রামপুরের বাসিন্দা মাসুদ, মুছাপুরের বাসিন্দা মুকুল, চরকাঁকড়ার পারভেজ, রফিক মিয়া, চরফকিরার হারুন, সিরাজপুরের ইমরান, বসুরহাটের সোহান সহ অসংখ্য মানুষ।    
তারা জানান, এখন করোনার সময় ঘরে থাকতে সরকারের নির্দেশ। কিন্তু বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি আমাদের খুব অশান্তি  দিচ্ছে। আমরা চরম অস্বস্তিতে আছি।
এদিকে শিক্ষার্থীরা ও বিদ্যুৎ বিভাগের চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এ.এইচ.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, এক লাইনে চারটি সাব-স্টেশন। যার ফলে কখনো কবিরহাটে সমস্যা হয়, কখনো অন্যত্র সমস্যা হয়। আর তা ভোগাতে হয় সবাইকে। আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করি করোনায় ঘরে থাকা মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকে সেইদিকে খেয়াল রাখতে।স্বস্তিতে থাকে সেইদিকে খেয়াল রাখতে।চরফকিরার হারুন, সিরাজপুরের ইমরান, বসুরহাটের সোহান সহ অসংখ্য মানুষ।    
তারা জানান, এখন করোনার সময় ঘরে থাকতে সরকারের নির্দেশ। কিন্তু বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি আমাদের খুব অশান্তি  দিচ্ছে। আমরা চরম অস্বস্তিতে আছি।
এদিকে শিক্ষার্থীরা ও বিদ্যুৎ বিভাগের চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এ.এইচ.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, এক লাইনে চারটি সাব-স্টেশন। যার ফলে কখনো কবিরহাটে সমস্যা হয়, কখনো অন্যত্র সমস্যা হয়। আর তা ভোগাতে হয় সবাইকে। আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করি করোনায় ঘরে থাকা মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকে সেইদিকে খেয়াল রাখতে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest