গোলাম মোস্তফা খান,দাকোপ,খুলনা।
খুলনার কয়রা উপজেলায় সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সর্বদা পাশে থেকে ভেঙ্গে যাওয়া ঘাটাখালি বেড়িবাঁধ মেরামতে স্থানীয় মানুষের সাথে কাজে সহযোগিতা, পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। বুধবার (১০ জুন) সকালে ৭টায় প্রায় ৮ হাজার মানুষের সাথে বাঁধ মেরামত কাজে অংশগ্রহন করেন তিনি। এর আগের দিন এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় মানুষকে বাঁধের কাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বুধবার সকালে সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে কয়রা উপজেলা সদর ও আশপাশের এলাকার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ রেখে বাঁধ মেরামত কাজে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলীগ, জনপ্রতিধি, ছাত্রলীগ, রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন,ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বাঁধ মেরামতে এগিয়ে আসে। যতদিন ভাঙ্গনে এলাকা প্লাবিত থাকবে ও করোনা ভাইরাস মহামারির সঙ্কট না কাটবে, ততদিন সরকার ও নিজ ব্যক্তি উদ্যোগে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাবে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে গ্রামবাসির সাথে বেঁড়িবাধে কাজ করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, সঙ্কট যত গভীরই হোক না কেন জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎড়ানো কোন কঠিন কাজ নয়। ঝড়-ঝঞ্ছা-মহামারি আসবে। সেগুলো মোকবিলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সঙ্কট যত গভীরই হোক জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎড়ানো কোন কঠিন কাজ নয়। সরকার জনগণের দুঃখ লাঘবে সব সময় পাশে আছে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্নিঝড়ের আঘাতে কয়রা উপজেলার ২১টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। স্থানীয় মানুষের প্রচেষ্টায় বেশিরভাগ স্থানে অস্থায়ি রিংবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে এখনও নদীর পানি উঠানামা চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে কয়রা সদর ইউনিয়নের ঘাটাখালি বাঁধটি। গ্রামবাসি স্বনির্ভরে আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। আশা করি দু’এক দিনের মধ্যে বাঁধটি মেরামত করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, কয়রা বাসির স্বপ্ন পূরনে অক্টোবরে কয়রা উপজেলার টেঁকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে ইনশাল্লাহ। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঘাটাখালি ও হরিণখোলা বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরসহ ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। পরে গ্রামবাসির প্রচেষ্টায় সেখানে একটি অস্থায়ি রিংবাঁধ দেওয়া হয়। গত শুক্রবার পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে ওই রিংবাঁধ ভেঙে আবারো প্লাবিত হয় এলাকা। এরপর সাংসদ বাবু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে পরিকল্পনা করে পুনরায় বাঁধটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন। দাকোপ,খুলনা lতাং ১১/৬/২০২০