গোলাম মোস্তফা খান,খুলনা: খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর মিছিল শুরু শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জুন) সকাল থেকে দুই নারীসহ মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় কার্ত্তিক নামের একজন মারা যান। মৃত কার্ত্তিক নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের মৃত নিতাইয়ের ছেলে। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে ফিরোজ আহমেদ (৫৯) নামের আরও একজন মারা গেছেন। তিনি মহানগরীর টুটপাড়া এলাকার মৃত মৌলভী আহমেদ হোসেনের ছেলে। তিনি সকাল ৭টায় হাসপাতালে ভর্তি হন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কার্ত্তিক (৪০) নামে এক যুবক গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। অপরদিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে জামসেদ আলম (৬০) নামে একজন শুক্রবার দুপুর সোয় ২টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তিনি মারা যান। মৃত জামসেদ আলম খুলনা মহানগরীর ৫ নম্বর ঘাট এলাকার মো. আহমদের ছেলে। এছাড়া জ্বর ও শ্বসকষ্ট নিয়ে রুমা বেগম (৩৫) নামে এক নারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টায় তিনি মারা যান। মৃত রুমা খাতুন যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার বাবুল ফারাজীর স্ত্রী। এছাড়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নাসিম আহমেদ (৬০) দুপুর ৩টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌঁনে ৪টায় তিনি মারা যান। মৃত নাসিম আহমেদ নগরীর মহম্মদনগর এলাকার মফিজউদ্দিন আহমেদের ছেলে। এর আগে শুক্রবার সকালে জরিনা বেগম (৬০) নামে এক নারী এবং মো. আলী (৬০) নামে অপর আরেকজন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ডা. মিজানুর রহমান জানান, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।