ঢাকা ৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ সাগর মল্লিক
বাগেরহাট প্রতিনিধি
সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর তান্ডবে নিঃস্ব প্রায়
ফকিরহাটের মৎস চাষীরা।সরকারী সহযোগিতা না পেলে না খেয়েই মরতে
হবে বলে ধারণা উপজেলার অধিকাংশ মৎস চাষীদের।একের পর এক
প্রাকৃতিক দূর্যোগে মাথায় হাত উঠেছে বাগেরহাটের ফকিরহাটের
মৎস চাষীদের।বাগেরহাটের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার
মানুষের জিবীকা এই মৎস্য চাষের উপর নির্ভর করে।ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের
ক্ষতি সামাল দেবার আগেই ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত।আর তাতেই
যেন নিঃস হতে বসেছে ফকিরহাটের মৎস চাষীরা।চিংড়ী ও সাদা মাছ
রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের রাজস্ব খাত অনেকটা সমৃদ্ধি হয়।নোনা পানি
হওয়ায় এসব অঞ্চলে ধান চাষ বা অন্যান্য ফসলাদী না হওয়ায় মাছ চাষকেই
বেছে নিয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ।কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক
দূর্যোগ যেন এই চাষীদের বড় শত্রু হয়ে দাড়িয়েছে।লক্ষ লক্ষ টাকা ঝণ
নিয়ে করা অনেকের মৎস্য ঘের। প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে ঘের ডুবে
গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষীরা।কিস্তির চাপ রয়েছে কিন্তু মৎস
চাষিরা নিরুপায়।যেখানে লাভতো দূরের কথা খরচের টাকায় উঠাতে
পারছেনা চাষীরা।দূর্যোগের ফলে নিঃস্ব প্রায় এসব মৎস্য চাষীদের
একমাত্র ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে সরকার।সরকারী হিসাবে বাগেরহাট জেলায়
এ বৎছর সাড়ে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজারের বেশি মৎস খামার
রয়েছে সরকারের নিবন্ধিত।এর বাহিরেও রয়েছে অনেক মৎস্য চাষী।সরকারী
সহযোগিতা পেলে হয়তো এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে প্রান্তিক
মৎস্য চাষীরা।আর এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারলে দেশ মৎস খাত
অর্থনৈতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশীদার হতে পারবে বলে মনে করছেন
মৎস্য চাষীরা। এব্যাপারে ফকিরহাট উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা
অভিজিৎ শীল বলেন,প্রাকৃতিক দূর্যোগেত ফলে উপজেলার অনেক ঘের
তলিয়ে গেছে যার ফলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এ জনপদের মৎস্য
চাষীরা। তবে আমরা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের নামের তালিকায়
মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেছি।আশা করি খুব দ্রæত ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা
সরকারের সহযোগিতা পেয়ে আবারো ঘুরে দাড়াতে পারবে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST