ঢাকা ৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
মোঃইলিয়াছ,ভোলা জেলা প্রতিনিধি!! ভোলা দৌলতখান উপজেলার কৃতিসন্তান সাংবাদিক আবুল আলাম আজাদের সমসাময়িক বিষয় সব সময় মুখ্য হয়ে ওঠে যেকোন লেখায়। সে বিষয়-আশয় কেমন? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার সূত্র ধরে মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর অপরাধ, ধর্ম ও রাজনীতি এর ইতিহাসকে তুলে আনার চেষ্টা করেন তিনি। “ঘুমন্ত বিবেক ও বাণিজ্যিক মানবতা” নামের এ বইয়ের কেন্দ্রে আছে উল্লেখিত নানা বিষয়। তাঁর লেখা প্রথম এই বইটি প্রকাশ করেছে “হাওলাদার প্রকাশনী”। এটিই লেখকের প্রথম বই।বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘মূলত আমি লেখক হিসেবে আমার সামাজিক দায়কে অস্বীকার না করে পাঠককে দিতে চেয়েছি সমসাময়িক বিষয়ক একটি উপাখ্যান। সাধারণ মানুষের জীবনকে খুব কাছে থেকে দেখে সেই দেখার অনুভবটুকু তিনি ধরে রাখতে চান নিজের লেখায়। লেখালেখির আগ্রহ ছোট বেলা থেকেই, ২০০৬ সাল থেকে জাতীয় দৈনিকের মাধ্যমে তার লেখার প্রাতিষ্ঠানিক সীকৃতি পায়। তিনি আরো বলেন, সমসাময়িক বিষয় নিয়েই লিখতে বেশী পছন্দ করি। ঘুণেধরা এ সমাজের মানুষের ঘুমন্ত বিবেককে লিখুনীর মাধ্যমে জাগ্রত করতে চাই। ‘লিখতে লিখতে কিভাবে যেন লেখার প্রতি প্রেম জন্মাল, বুঝতে পারিনি। ভালো লাগার সঙ্গে ছিল লেখার প্রতি দায়িত্বশীলতা। দুটোকে রক্ষা করতেই পেশা হিসাবে নিয়েছি লেখালেখিকে। জানি না কতটা পেরেছি। যদিও লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নিয়ে জীবনধারণ করা আমাদের দেশে এখনো বেশ অসম্ভব, তবু পেশার স্থলে “লেখক” লিখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমি।’ সমসাময়িক যাঁরা লিখছেন, তাঁদের অনেকের লেখাই তাঁর ভালো লাগে। তবে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাঁর প্রিয় লেখক কে?উবায়দুর রহমান খান নদভী, লেখক ও সাংবাদিক। আবুল আসাদ, (সাইমুম সিরিজের লেখক ও সাংবাদিক)। এছাড়াও তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বসাহিত্য পড়লে ভালো লেখার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। ভালো লাগে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা। আর অনুপ্রাণিত হন লিও তলস্তয় ও ফিওদর দস্তয়েভস্কির লেখা পড়ে। এতো লেখালেখির শক্তি পান কোথা থেকে জানতে চাইলে মানবতাবাদী লেখক বলেন, আমি লিখব – এই মানসিকতাই আমার লেখার প্রেরণা। লেখক হওয়ার জন্য পড়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে কলাম লিখতে হলে সংবাদপত্র নিয়মিত পড়তে হবে। সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে। লেখালেখির পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন, আমার লেখার মধ্যদিয়ে পিছিয়ে পড়া সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। যুব সমাজের মধ্যে নেতৃত্ববোধ, দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চাই, লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। সৃজনশীল কাজে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করতে পারলে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ সকল নেতিবাচক কর্মকান্ড থেকে একটি ইতিবাচক যুবসমাজ তৈরী সময়ের ব্যপার মাত্র। বইটির শুভেচ্ছা মূল্য- ২৫০ টাকা। বইটি সংগ্রহ করতে- ০১৭৩২-৩৯৩৯৩৯ নাম্বারে আপনার নাম ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার উল্লেখপূর্বক মেসেজ দিন। কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনার কাছে পৌঁছে যাবে। আপনি বইটি হাতে পেয়েও মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST