৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ‘হো চি মিন বিশ্বের স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষের নেতা’ : মোস্তফা

প্রকাশিত: ৯:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০

৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ‘হো চি মিন বিশ্বের স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষের নেতা’ : মোস্তফা

মারুফ সরকার ,বিশেষ প্রতিনিধি :
ভিয়েতনামের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান নেতা কমরেড হো চি মিন ছিলেন গোটা বিশ্বের সংগ্রামী মানুষের নেতা হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব ও জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন আহবায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে হো চি মিনের নেতৃত্বে দু’দেশকে একীকরণের যে বীরত্বপূর্ণ লড়াই ভিয়েতনামের জনগণ করেছিলেন, তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে চিরগাঁথা হয়ে থাকবে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া ভিয়েতনামের মহান বিপ্লবী নেতা হো চি মিনের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়েই নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামের মানুষের কাছে তিনি হন হো চি মিন (আলোর দিশারী)। বিশ্ববাসীর কাছেও এ নামেই তিনি পরিচিত। ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান পৃথিবীর মুক্তিকামী ও সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কমরেড হো চি মিনের জীবন আজও বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের কাছে অসামান্য প্রেরণা।

তিনি বলেন, সকল দেশের-সকল জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ছিল সর্বাত্মক সমর্থন। ষাটের দশকে যখন চীনের নেতাদের সাথে ভাসানীর ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপিত হয় তখন তাদের মাধ্যমে ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক নেতাদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। হো চি মিনকে তিনি অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়ে পত্র দিয়েছিলেন। হো চি মিনের প্রতি তার ছিল গভীর শ্রদ্ধা। প্রেসিডেন্ট হোর মৃত্যুতে তিনি যথার্থ অর্থেই মর্মাহত হয়েছিলেন।
সেময় পাবনার ঈশ্বরদি থেকে দেয়া এক শোকবার্তায় মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘হো চি মিনের মৃত্যু বিশেষভাবে উত্তর ভিয়েতনামীদের জন্য এবং সাধারণভাবে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার জনসাধারণের জন্য বিরাট ক্ষতি। হো ছিলেন ভিয়েতনামের এক কথায় গোটা বিশ্বের সংগ্রামী মানুষের নেতা।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, প্রযুক্তি, সামরিক ও অর্থনৈতিক সকল দিক দিয়ে ফ্রান্স, জাপান ও আমেরিকার তুলনায় ভিয়েতনামের শক্তি ছিল নগণ্য। কিন্তু ভিয়েতনামীদের শক্তির উৎস ছিল বিপ্লবী মন্ত্র, বিপ্লবী দর্শন, সঠিক পার্টি ও নেতৃত্ব। সে কারণে ফ্রান্স, জাপান ও আমেরিকার মতো অসম শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে ভিয়েতনামী জনগণ উপনিবেশিক শাসন থেকে নিজেদের মুক্ত হতে সক্ষম হয়। মুক্তি ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে ভিয়েতনাম একটি আলোচিত অধ্যায়। বিশ্বের অধিকারহারা নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের ভিয়েতনামীদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক কমরেড রফিকুল ইসলাম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সংগঠনের সমন্বয়ক মো. মহসিন ভুইয়া, কৃষক নেতা তাইজুদ্দিন আহমেদ, শ্রমিক নেতা মো. হাবিবুর রহমান, আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, সাধারণ ধারণা রাখার জন্যেও ভিয়েতনামের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিত। ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হো চি মিন। তিনি বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে যে কয়জন ব্যক্তি একটি জাতির জন্য স্বাধীনতার দূত হয়ে এসেছিলেন হো চি মিন তাদের মধ্যে অন্যতম। একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা হয়ে উঠতে পারেন তারই বড় প্রমাণ হো চি মিন। এই আধুনিক বিশ্বেও তার কীর্তি সবার জন্য অনুপ্রেরণীয়।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest