ঢাকা ৫ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২০
রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রধানঃ-
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফৌজদারহাট থেকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের একটা স্টাডি প্রকল্প চলছে। এ মেরিন ড্রাইভ সড়কটি হলে এখানে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারীরা আসবে। এতে পর্যটনখাত আরো ডেভেলপ (উন্নত) হবে। সেগুলোর জন্য আমরা এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি এবং কাজ করার জন্য চেষ্টা করবো।’
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একটি সভা আয়োজিত হয়। রুদ্ধদ্বার এ সভা শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের মতবিনিময় করেন। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন সংক্রান্ত এ আলোচনা হয়।
এসময় মন্ত্রী পর্যটনখাতের মাধ্যমে উন্নত হওয়া অনেক রাষ্ট্রের কথা তুলে ধরেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কি কি আলোচনা হয়েছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেয়া আছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য পূর্ত মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সবাই দায়িত্বপ্রাপ্ত। এ কাজগুলো সঠিকভাবে করার জন্য, গুণগত মানসম্পন্ন যেন হয়, সঠিক সময়ে হয় যাতে করে মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত যে উন্নয়ন তা অর্জন করতে পারে তা নিয়ে সভা হয়েছে। সভাতে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। স্ব-স্ব দায়িত্ব সবাই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এ দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে চট্টগ্রামের আরো যে সমস্যাগুলো আছে চিহ্নিত করা হবে এবং সমাধান করা হবে।’
চট্টগ্রামের সেবা সংস্থার সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অসমন্বয়ের কোনো অবস্থা থাকবে না। আমি জানি না কখনো অসমন্বয় ছিল কিনা। তবে আমার নেতৃত্বে সকল মন্ত্রণালয়গুলো এসেছে। প্রয়োজন হলে তাদের ডাকেও আমি যাবো। আমাদের প্রশাসক যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তিনি দিবা-রাত্র কাজ করে যাচ্ছেন। তাতে পরে দৃশ্যমান উন্নয়নও হচ্ছে। খালগুলো পরিষ্কার করা হবে। কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং করা হবে।’
কর্ণফুলী নদী দখল-দূষণ রোধে ও লিজ নেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গা দখল যা যা হয়েছে ও দূষণের যেসব প্রক্রিয়া আছে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কর্ণফুলী নদী লিজ দেয়ার জন্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানকে দায়বদ্ধ করা হচ্ছে। তারা যেন আগামীতে এমন কিছু না করে, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বক্তব্য শেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের কাছে সমন্বয় প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বক্তব্যের পরে আমার আর কিছু বলার থাকে না। তবে এটুকু বলতে পারি, আজকের এ আলোচনা সভা কর্ণফুলী ড্রেজিং প্রকল্পকে আরো গতিশীল করবে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় স্থাপনে এটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। ফলে আগামীতে চট্টগ্রাম শহরে কাজ করতে আমাদের সুবিধা হবে।’
এ মতবিনিময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST