বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৯

বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

বরিশাল মহানগর প্রতিনিধিঃ জাতীয় নেতা ও বাংলার বাঘ খ্যাত শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর এ কে ফজলুক হক বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আজ সেই মহান নেতার জন্মদিন।

আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৪ টায়, জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস, এম, অজিয়র রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরিশাল, তৌহিদুজ্জামান পাভেল। মুখ্য আলোচক দৌহিত্র শেরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক, এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল, অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মাকসুমুল হক, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বরিশাল, মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিজন এস এম ইকবাল, সিনিয়র সহসভাপতি জেলা আওয়ামীলীগ বরিশাল, মোঃ হোসেন চৌধুরী, সভাপতি সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বরিশাল, অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতি বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব, কাজী আবুল কালাম আজাদ, সভাপতি সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ বরিশাল, কাজল ঘোষসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, বরিশালের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গরা এবং বিভিন্ন অতিথি বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শের-ই-বাংলা কে ফজলুল হকের বর্ণাঢ্য জীবনী নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিদর্শন করা হয়। পরে অতিথিরা তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে বিস্তারিত  আলোচনা করেন। পরিশেষে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শের-ই-বাংলা কে ফজলুল হকের বাবা ওয়াজেদ আলী একজন প্রখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। মা সৈয়েদুন্নেছা ছিলেন গৃহিনী। ফজলুল হক ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র পুত্র। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের কাছে তিনি শেরেবাংলা এবং ‘হক সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৩৫ সালে কলকাতার মেয়র, ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফজলুল হক। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন ,১৯৫৪ সালের ১৫ মে শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ লাভ করেন।

১৯৫৬ সালের ২৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার তাকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করে। এরপরই তিনি তার ৪৬ বছরের বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক জীবন থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল এ কে ফজলুক হক ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনের কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলেই ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest