স্বরূপকাঠি-কাউখালী ও ইন্দুরকানির সুপারী যাচ্ছে দেশ-বিদেশে

প্রকাশিত: ২:১২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৯

স্বরূপকাঠি-কাউখালী ও ইন্দুরকানির সুপারী যাচ্ছে দেশ-বিদেশে

ইরফান সুজনঃ বরিশাল প্রতিনিধিঃ পানের প্রধান উপকরণ চুন ও সুপারি। দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ পান খেতে অভ্যস্থ। আর সেই পানের প্রধান উপকরণ সুপারির সিংহভাগ উৎপাদন হয় বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে। সুপারি উৎপাদনের জন্য বরিশালের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি,কাউখালী ও ইন্দুরকানী প্রসিদ্ধ উপজেলা।

অধিক লাভজনক ও অর্থকরী ফসল হিসেবে দক্ষিনাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে কমবেশি সুপারির চাষ হয়। এসব উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে বছরে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার কাঁচা-পাকা সুপারি চালান হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

শুধু দেশেই নয়,এই সুপারি এলসির মাধ্যমে যাচ্ছে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশে।সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত কাঁচা-পাকা সুপারি কেনাবেচা চলে। কেউ কেউ আবার সুপারি কিনে শুকিয়ে টাডি তৈরি করেও বিক্রি করে থাকেন।

আর সেইসব শুকনো সুপারি বেচাকেনা চলে সারা বছর ধরে। এসব উপজেলায় সপ্তাহে দুই দিন করে সুপারি কেনাবেচার হাট বসে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় পাইকার ও বেপারিরা এসব হাটে আসেন সুপারি কিনতে।

কেনাকাটা শেষে পাইকাররা দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রাক ও ট্রলার যোগে রাজধানী ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, সৈয়দপুর, রংপুর, বাগেরহাট, খুলনা, যশোর,ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া,গাইবান্ধা, ফরিদপুর,শরীয়তপুর, নোয়াখালী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সুপারি চালান করেন।

গত বছরের তুলনায় এবার সুপারির ফলন বেশি। সেই সঙ্গে দামও ভালো হওয়ায় চাষিরাও দারুন খুশি। এবার মৌসুমের শুরুতে প্রতি কুড়ি পাকা সুপারি স্থানীয় বাজারে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বাজার কিছুটা কমে ২৫০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা চলছে। আর কাঁচা সুপারি ১২০ টাকা থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

শ্রেণিভেদে কমবেশি হয়ে থাকে কাঁচা-পাকা দুই ধরনের সুপারি দাম।এছাড়া শুকনো সুপারি প্রতিমণ এখন ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পাইকারি মোকামগুলোতে।

এদিকে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরে দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সুপারি গাছের। তখন বেসরকারি হিসেবে দেখা গেছে সিডরের কারণে বড় বড় গাছ চাপা পড়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ সুপারি গাছ মারা যায়।

এসময় ক্ষতি গ্রস্থ হয় আরও প্রায় ২৫ শতাংশ গাছ। তবে গেল এক যুগে প্রতিটি গ্রামেই সুপারি চাষ বেড়েছে। এছাড়া নতুন সুপারি বাগানের সংখ্যাও বেড়েছে বিভিন্ন এলাকায়।


alokito tv

Pin It on Pinterest