চিতলমারীতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন l

প্রকাশিত: ১:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২১

চিতলমারীতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন l

তাসনিম ইসলাম মাহি
চিতলমারী প্রতিনিধি:

চিতলমারীতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে সকাল ৯ টায় আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায়, সহ-সভাপতি শেখ নিজাম উদ্দীন,
সহ-সভাপতি বেল্লাল শেখ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ কেরামত আলী, যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ শেখ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ শেখ মাহাতাবুজ্জামান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেরা কামাল স্বপ্না, যুবলীগের সদস্য শান্তনু রানা, যুবলীগ নেতা ও (সাবেক) ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ স্বপ্নীল আকাশ, যুবলীগ কর্মী দেলোয়ার ফকির, ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক রবীন হীরা, সহ-সভাপতি শেখ শাওন আদনান, চিতলমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মুন্সী সহ আরো বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ। এছাড়াও উপজেলা প্রসাশন, উপজেলা পরিষদ ও শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর সেরা রাজনৈতিক ভাষণের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ব্যতিক্রমী এবং অনন্য। অন্য সব সেরা ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি লিখিত ছিল না। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার মনের কথা জনতার উদ্দেশ্যে বলেছেন। প্রায় ১৯ মিনিটের ভাষণ শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন জনতাকে ‘আপনি’ সম্বোধনের মাধ্যমে। বলেছিলেন ‘আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন’। তিনি জনতাকে তার সহযাত্রী মনে করেছিলেন। যে সহযাত্রীর সব কিছু সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল। উভয়ের দুঃখ-বেদনা আশা-আকাঙ্ক্ষা এক। কেউ কারও চেয়ে কম জানে না বা বোঝে না। প্রকৃত নেতা কখনও তার কর্মী-সমর্থকদের ‘কম বুদ্ধিমান’ মনে করেন না। যেমন করেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি শুধু বাস্তবতার দিকগুলো তুলে ধরেছেন। সাধারণ মানুষের অনুভূতিগুলোকে নিজের অনুভূতির সঙ্গে ঝালিয়ে নিয়েছেন। একপর্যারে উপস্থিত জনতার সঙ্গে এতোটাই একাত্ম হয়ে পড়েছেন, কখন যে জনতা ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে পরিণত হয়ে গেছে তা না-বক্তা, না-শ্রোতা কেউই খেয়াল করেননি। ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বলেছেন:
‘তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে।’
এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান একটি গেরিলাযুদ্ধের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ভাষণ শেষে স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগানমুখর হয়ে উঠেছিলো ঢাকার রাস্তাগুলো।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest