ঢাকা ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহী ব্যুরো : লকডাউনের তৃতীয় দিনেও রাজশাহী মহানগরীতে কঠোরভাবে লকডাউন পালন হয়েছে। যদিও প্রথম দিনের তুলনায় ২য় দিন রাস্তায় বেশি অটোরিক্সা ও রিক্সা চলতে দেখা গেছে। প্রথম দিন থেকেই নগরের মূল মূল রাস্তায় যানবাহন ও মানুষ কম দেখা গেলেও পাড়া-মহল্লার রাস্তা-ঘাট ও দোকান খোলা থাকছে পূর্বের মতোই। আবার মানুষও ঘোরাফেরা করছে বেশি।
নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে লকডাউনে লোকজন নেই বললেই চলে। কাঁচা বাজারগুলোতে সামাজিক ও দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। শরীরের সাথে শরীর ঘেঁষেই চলছে কেনাকাটা। অধিকাংশ ব্যবসায়ীর মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক। সচেতন মানুষজন বলছেন, ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ জরুরী। কারণ দোকানিরা সংক্রমিত হয়ে পড়লে ক্রেতাদের উপর সেই প্রভাব পড়বে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ক্রেতারা তা থেকে বাঁচবে।
নগরীর রেলগেট সপুরা এলাকায় গত লকডাউনে যেমন কিছু সিএনজি চালককে যাত্রী নেওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারো কিছু কিছু সিএনজি চালক যাত্রীর জন্য সিএনজি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় দফার লকডাউন কার্যকরে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ভূমিকা পালন করা হচ্ছে। মাঠে সক্রিয় রয়েছে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনেক স্থানেই ব্যাটারি চালিত রিক্সার চাকার হাওয়া ছেড়ে দিতে দেখা গেছে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকার চেকপোস্টে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন চালকদের থামিয়ে গন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় ৭ দিন লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার কঠোরভাবে রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় লকডাউন পালন হয়। গত তিন দিনেই কোনো যানবাজনকে ছাড় দিতে দেখা যায়নি। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হতে তেমন মানুষকে দেখা যায়নি। তবে কাঁচা বাজারগুলোতে ভিড় ছিল ক্রেতাদের। টিসিবির পণ্য কিনতেও ক্রেতাদের দেখা যায় গাদাগাদি করে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি বরাবরই উপেক্ষিত ছিল। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি কাঁচা বাজারগুলোতেও মানতে দেখা যায়নি ক্রেতাদের। খাবার হোটেলের পাশাপাশি কিছু
দোকানও লুকিয়ে সার্টার তুলে খোলা রাখা দেখা গেছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ভূমিকা পালন করা হচ্ছে। এরমধ্যেই নগরে কিছু সেলুন খুলে কার্যক্রম কাজ করতে দেখা গেছে। এছাড়াও অন্যান্য দোকানও খুলে রাখতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার দ্বিতীয় দফায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে। জরুরী সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST