শিল্পী সোহেল’কে বিয়ে করতে মাহিয়ার সম্মতি প্রকাশ :

প্রকাশিত: ১১:০২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১

শিল্পী সোহেল’কে বিয়ে করতে মাহিয়ার সম্মতি প্রকাশ :

বিনোদন রিপোর্টার : শিল্পী মনির খান অঞ্জনার গানের ইতিহাসের পঁচিশ বছর পর বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ভালোবাসার মানুষ মাহিয়ার নামে নবাগত শিল্পী সোহেল’র হার্ট ব্রেকিং ভালোবাসার গানের এক নতুন ইতিহাস। আমাদের সংবাদদাতা কর্তৃক বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করে জানা যায় যে, শিল্পী সোহেল ও মাহিয়া মাদারীপুর জেলা শিবচর উপজেলার একই এলাকার বাসিন্দা। জীবনের একটি অন্যরকম স্বপ্ন আশায় বিভোর হয়ে দুজনের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক চলমান থাকার এক পর্যায়ে হঠাৎ ফরিদপুরের একটি ছেলের সাথে মাহিয়ার এ্যাংগেজমেন্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় মাহিয়া সোহেলের জন্য পাগলামি করে এ্যাংগেজমেন্টের আংটি ফিরিয়ে দিতে ফ্যামিলির সাথে ঝামেলা শুরু করে দেয়।


তখন ‌সোহেলও মাহিয়াকে তার জীবন থেকে হারানো নিশ্চিত জেনে “একটা পত্র লিখেছি আমি মাহিয়া’র কাছে”শিরোনামের গান গেয়ে তা অনলাইনে রিলিজ দিলে তা শুনে মাহিয়ার পাগলামি অনেক গুন বেড়ে যাওয়ায় অবশেষে দীর্ঘ ৩ মাস যুদ্ধ করে সোহেলের জন্য মাহিয়ার অস্বাভাবিক পাগলামিতে মাহিয়ার ফ্যামিলি তার এ্যাংগেজমেন্টের আংটি ফিরিয়ে দিয়ে বিয়ে ক্যানসেল করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে মাহিয়ার মোবাইল সহ সোহেলের সাথে যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করে অন্য একটি ছেলের সাথে মাহিয়াকে বিয়ের স্বিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য করে। তখন শিল্পী সোহেল “আমি থাকতে পারিনা মাহিয়া তোমায় ছাড়িয়া” শিরোনামের একটি গান গেয়ে অনলাইনে রিলিজ দিলে তা শুনে সোহেলের জন্য মাহিয়ার পাগলামি আবার বেড়ে যায়, ফলে বিয়ের পরপরই মাহিয়া বাপের বাড়ি ফিরে এসে বাবা মায়ের সাথে পাগলামি করে একটি নাটকিয়ো ঘটনা ঘটিয়ে দিয়ে ফ্যামিলিকে বাধ্য করিয়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে দেয়।


তারপর থেকে এলাকায় শুর হয় দফায় দফায় মেম্বার, মাদবর, চেয়ারম্যানদের দরবার শালিস, সেখান থেকে সোহেল মাহিয়া’র বিষয়টি চলে যায় উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে বিষয়টি থানা পুলিশের দ্বায়িত্বে চলে যাওয়ায় দফায় দফায় এলাকায় পুলিশের আনাগোনা শুরু হয়। সেখান থেকে বিষয়টি পরবর্তীতে মাদারীপুর জজকোর্ট ও ঢাকা জজকোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে। এমতাবস্হায় শিল্পী সোহেল মাহিয়ার কয়েকটি গানের লক্ষ লক্ষ ভিউয়ার্স ও নানান নাটকিয়ো ঘটনা দিনের পর দিন মাসের পর মাস ঘটার কারনে বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে পড়ায় উক্ত বিষয়টি নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় সব জাতীয় দৈনিক ও অসংখ্য অনলাইন পত্রিকায় নিয়মিত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। তখন থেকে মাহিয়া তার বাপের বাড়িতেই অবস্হান করতেছেন আর সোহেল বাংলাদেশ ও ভারতে মাহিয়ার নামে নতুন নতুন গান রিলিজ দেওয়া সহ অন্যান্য শিল্পীদের এ্যালবাম ও সিনেমার গানের লেখক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ নিয়ে কর্মব্যস্ত রয়েছেন।


সম্প্রতি শিল্পী সোহেল মাহিয়ার নামে তার ১১ নাম্বার গান রিলিজ দেওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় আবার নতুন করে আলোচনায় চলে এসেছে। এই গানটির মধ্যে শিল্পী সোহেল বলে দিয়েছেন যে, মাহিয়াকে পাবার ভাগ তিনি দুনিয়ার অন্য কাউকে দিবেন না এবং মাহিয়াকেই বিয়ে করতে চান। সোহেলের সাথে যোগাযোগ করতে বাঁধা নিষেধ থাকলেও এই গানটি শুনে সব বাঁধা অতিক্রম করে মাহিয়া সোহেলের সাথে যোগাযোগ করে শর্ত সাপেক্ষে সোহেলকে বিয়ে করার সম্মতি জানিয়েছেন ফলে মাহিয়ার ফ্যামিলিও বিষয়টা নিয়ে আবার নতুন করে নড়ে চড়ে উঠেছেন। শিল্পী সোহেল ও মাহিয়া দীর্ঘ ২৩ মাস যাবত ভালোবাসার এই যুদ্ধের ময়দানে চলতে চলতে দুজনেই বড় ক্লান্ত। দীর্ঘ দিন ধরে চলমান সোহেল মাহিয়া’র ভালোবাসার শেষ পরিণতি কি হয় তাই এখন দেখার বিষয়।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest