দাকোপে চলছে পানির হাহাকার।

প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২১

দাকোপে চলছে পানির হাহাকার।

গোলাম মোস্তফা খান,দাকোপ।
দাকোপের সব শ্রেণীর মানুষের সবচেয়ে বেশি চাহিদা বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য পানির বড় বড় ট্যাংকি বা পাত্র। উপকুলিয় এ লবন এলকায় সব শ্রেণীর মানুষের সরকার তথা জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটাই বড় দাবি সেটা হচ্ছে।জল ধারনের ট্রাঙ্কি।এটা যে কত জরুরী সেটা মাসের পর মাসে প্রচন্ড গরম ও সকল এলাকা শুকিয়ে জলশুন্য হওয়ায় গ্রাম ও শহরতলির মানুষ হাড়ে হাড়ে উপলব্দি করছে।


ট্যাংকিরএত চাহিদা যে উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তর,ইউপি চেয়ারম্যানদের দপ্তর পানির পাত্র চেয়ে হাজার হাজার আবেদন জমা হয়ে পড়ে আছে এক বছরের বেশি সময়,মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত,অসহায়, গরীর সকলের একটাই দাবি আমরা আর কিছু চাই না পানির একটি বড় ট্যাংকি চাই। তাদের খোলা কথা ভোট দিয়ে আমাদের জনপ্রতিনিধি বানালাম আমরা কি একটি পানির ট্যাংকি পেতে পারি না,যাদের খুব প্রয়োজন না তারা আগে আগে পায় কিভাবে।দাকোপের গ্রাম, গায়ের মানুষ ঘেরা দেওয়া ভাল পুকুরের পানি নিয়ে ফিল্টার করে, মেডিসিন মিশিয়ে পানি পান করতো,কোন কোন এলাকার মানুষ টিউবয়েলের পানি পান করতো কিন্তু দীর্ঘকালের টানা খরায় সব শুকিয়ে পুকুরে পানি নাই,টিউবয়েলে পানি উঠছে না।


কোটি কোটি টাকার তরমুজ ক্ষেত শুকিয়ে মারা যাচ্ছে।সব মিলিয়ে এ প্রচন্ড খরায় এবার এক ভয়াবহ রুপ নিয়ে উপকুলিয় এ লবন এলাকায়।এ বিষয় দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলি খানের সাথে আলাপ হলে জানান সহস্রাধীক পানির পাত্রের জন্য আবেদন আমার দপ্তরে জমা পড়ে আছে গত একবছর যাবৎ। উপরে জানানো হয়েছে,হুইপ মহোদয়কেও বলেছি কিন্তু বরাদ্দ আসে খুব সামান্য কাকে রেখে কাকে দেবো,ইউপি চেয়ারম্যান,ইউএনও সাহেব সাধারনত ভাগ বাটোয়ারা করেন। এজন্য এনজিওদের এগিয়ে আসা দরকার যাতে দাকোপের কোন বাড়ি বাদ না যায়। আর দাকোপের সকল কাজে চরম গ্রুপিং এর জন্য জনগনের সেবা করাও খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।এ বিষয় আরও কথা হয় ওয়ার্কার্স পার্টির সিনিয়রনেতা গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়ের সাথে তিনি বলেন খাল দাকোপে খনন,পুকুর খনন খুব জরুরী তাহলে সবধরনের ফসলও হবে, মানুষও বাঁচবে।খননের বিকল্প নেই।


কিন্তু খননে বরাদ্দ হলে তো যারা কমিটিতে থাকে বিশেষকরে পিআইসি সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে চুক্তি করে সব খেয়ে ফেলে, এজন্য খননের দায়িত্ব সেনাবাহিনী বা অন্য যে কোন সংস্থা বা সৎ বাহিনীর উপর দায়িত্ব দিলে টাকা তসরুফ হবে না, এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। আর সিপিবির জেলা সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ রুহুল আমিন এ প্রসংগে বলেন অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে আমরা লবন পানি মুক্ত করার জন্য আজ দাকপে কোটি টাকার সোনার ফসল তরমুজ,বোরো,নানা সবজি উৎপাদন করতে পারছি কিন্তু জলাধারের অভাবে সব ভেস্তে যেতে বসেছে,এজন্য পরিকল্পিত ভাবে খাল,পুকুর,লেক খনন করা একান্ত জরুরী।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest