ঢাকা ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
কুমিল্লা প্রতিনিধি ::
কুমিল্লা দেবিদ্দার উপজেলার সুবিল গ্রামের বাসিন্দা মোঃসাইদুল ইসলাম২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর তার পাশের বাড়ির মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে ড্রাইভার শাহাদাত হোসেন ও মৃত সাহেব আলীর ছেলে ড্রাইভার জমির তাদের সাথে গাড়ি চালানোর জন্য ভাড়া করে ৩দিনের জন্য চট্রগ্রামে রওয়ানা দেয়। ঠিক তার ২ দিন পর ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাইদুল এর বড় ভাই মোঃফারুক এর মোবাইলে এক পথচারি ০১৮১৮০৪৮০১০ এই নাম্বার থেকে ফোন করে বলে, চট্টগ্রাম সরকারি মেডিকেল কলজ হাসপাতালে আপনার ভাইয়ের লাশ পরে আছে। আপন ছোটভাই এর মৃত্তুর সংবাদ পেয়ে মোঃফারুক কিছু লোক নিয়ে চট্রগ্রাম সরকারি হাসপাতালে গিয়ে লাল পাটিতে মোড়ানো অবস্হায় তার ছোট ভাইয়ের লাশটি পরে আছে দেখতে পেয়ে বিশ্বাস করতেই পারছে না যে এটা তার ভাই। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বিশ্বাসতো তাকে করতেই হবে। তবে ভাইয়ের লাশটি এভাবে দেখে তিনি বিমর্ষ হয়ে গেলেন। তখন চট্রগ্রাম কোতয়ালি থানা পুলিশ এসে নিহতের ভাই ফারুক কে একটি কাগজে সই করতে বললে ফারুক শোকে স্তব্ধ থাকাবস্থায় কিছু না বুজে পুলিশের দেওয়া কাগজে সই দিয়ে লাশ নিয়ে বাড়িতে আশে। তবে নিহত সাইদুলের লাশ গোসল করানোর সময় তার দেহে কোন চিহ্ন দেখা যায়নি বলে দাবি পরিবারের। শুধু অন্ডোকোশ দুটো গলে গেছে।তখন পরিবারের লোকদের সন্দেহ হয় এটি দূর্ঘটনার মৃত্যু নয় এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
নিহতের পরিবারের লোকজন গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাই মামলা করলে ন্যয় বিচার পাবে কিনা এটা দির্ঘদিন চিন্তা ভাবনা করে নিহতের ভাই ফারু বাদি হয়ে কুমিল্লা সিনিঃ জুডিঃ ম্যজিঃ ৪নং আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলা নং সি আর ৫৯/১৮ ধারা ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ করে ৪ বছর যাবত আদলতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আজ পর্যন্ত মামলার বাদী মোঃ ফারুক ন্যয় বিচার পাননি। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত ভার কুমিল্লা সি আই ডির মোঃ আক্তারুজ্জামান বি পি উপ-পুলিশ পরিদর্শকের দায়িত্বে ন্যাস্ত। এই হত্তাকান্ডের সঠিক তদন্ত করবে বলে বাদি ফারুক কে আশ্বাস দেন এই সিআইডি কর্মকর্তা। পরিবারের ও এলাকাবাসীর দাবি, অতি শিঘ্রই সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তারা দীর্ঘ ৪ বছর পর এই হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার পাবেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST