নরসিংদীতে ২ ইউপি: চেয়ারম্যানসহ ১৮ জন গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২

নরসিংদীতে ২ ইউপি: চেয়ারম্যানসহ ১৮ জন গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ২টি বিদেশী পিস্তলসহ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি, চরাঞ্চলে সহিংসতাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত রবি ও সোমবার নরসিংদী সদর, পলাশ, রায়পুরা ও মাধবদী থানা এলাকায় পৃথক ৪টি অভিযানে তাদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, ডাকাতদলের সদস্য মাধবদী থানার আমদিয়া এলাকার জাহিদুল হক টিপু, মো: শাহ আলম, সোহাগ মিয়া, পলাশের ঘোড়াশাল এলাকার নূরে আলম, রুবেল, আল আমিন ও আবু তাহের। চরাঞ্চলের টেটাঁযুদ্ধের হোতা সদর উপজেলার আলোকবালী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু (৫০), আবদুল মতিন মেম্বার (৫৮), মো. আসাদুল্লাহ (৪২) ও তাদের চার সহযোগী এবং রায়পুরা থানার মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাফর ইকবাল মানিক (৪৫) ও তার তিন সহযোগী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চরাঞ্চলে খুন সহিংসতাসহ জেলায় ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পৃথক অভিযান পরিচালনা করে জেলা পুলিশ। গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাধবদী থানার আমদিয়া ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কুখ্যাত ডাকাত শাহ আলমসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে মাধবদী থানা পুলিশ। আসামীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন থানায় এলাকায় ১৪টি মামলা আছে।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘোড়াশাল মিয়াপাড়া এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিদেশী পিস্তল, কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজিঅটোরিকশাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী নুর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা ও মাধবদী থানায় ৩টি ওয়ারেন্ট মূলতবি রয়েছে। আসামী রুবেলের নামে ৪টি মামলা ও বেলাব থানায় ২টি ওয়ারেন্ট মূলতবী আছে। আলামিনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা ও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা আছে।

গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে টেটাঁযুদ্ধের হোতা হিসেবে চিহ্নিত সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু, আবদুল মতিন মেম্বার, আসাদুল্লাহ মিয়া ও তাদের ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মডেল থানায় একাধিক মামলা আছে।

গত ৩১ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাফর ইকবাল মানিককে একটি দুই নলা বন্ধুক ও চারটি কার্তুজসহ গ্রেফতার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। একই দিনে মির্জারচর ও বাঁশগাড়ী এলাকার টেটাযুদ্ধের সহকারী হিসেবে চিহ্নিত আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মানিকের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় খুনসহ একাধিক মামলা আছে।

পৃথক চারটি অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ১ পাইপগান, ২ টি চাইনিজ কুড়াল, ৬ টি কার্তুজ, ৫ রাউন্ড গুলি, ১ টি রামদা, ২ টি ছোরা, ১ টি কাভার্ডভ্যান, ১২৫ পিস ইয়াবা ও ১ টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৭ জন ডাকাতদলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়া দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিজেদের স্বার্থে উস্কানি দিয়ে চরাঞ্চলে সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest