জেনে নিন নিপুণের জয়ে যে শঙ্কা দূর হলো কাঞ্চনের

প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২

জেনে নিন নিপুণের জয়ে যে শঙ্কা দূর হলো কাঞ্চনের

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই শঙ্কায় ছিলেন নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের শো ‘তারকা কথন’-এ উপস্থিত হয়ে তিনি সেই শঙ্কার কথা প্রকাশও করেছিলেন। নির্বাচনের দুই দিন পর প্রচারিত ওই অনুষ্ঠানে জায়েদ খানও উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের এক প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছিলেন, ‘সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আমি খুব একটা খুশি হতে পারিনি। কারণ, আমার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ পরাজিত হয়েছে। জায়েদ খান জিতেছে। সে আমাকে আমার দায়িত্ব পালনে কতটা সহায়তা করবে, তা নিয়ে আমি শঙ্কায় আছি। তাই কতটা কাজ করতে পারব জানি না।’

অবশেষে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে ইলিয়াস কাঞ্চনের সেই শঙ্কা দূর করে দিলেন নিপুণ আক্তার। শনিবার এফডিসিতে এক বৈঠকের পর এই অভিনেত্রীকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করে এবারের নির্বাচনের জন্য গঠিত আপিল বোর্ড। একইসঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

তবে শুধু জায়েদ নয়, একই অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে তারই প্যানেলের কার্যনির্বাহী পদে জয়ী প্রার্থী চুন্নুর প্রার্থিতাও। তার বদলে ওই পদে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে নাদির খানকে। তিনিও জায়েদদের প্যানেল থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন।

ভোটের দিন থেকেই জায়েদ ও চুন্নুর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলে আসছিলেন নিপুণ আক্তার। নির্বাচন কমিশনে তিনি অভিযোগ জানিয়েও ফল পাননি বলে দাবি করেন অভিনেত্রী। ফলাফল ঘোষণার পর প্রথমে তিনি আপিল বোর্ডে আবেদন করে কাজ না হওয়ায় পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানান।

এরপর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দিকনির্দেশনা আসে আপিল বোর্ডে। জানানো হয়, আপিল বোর্ড আলাপ আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এমন নির্দেশনা পাওয়ার পরই শনিবার বিকালে এফডিসিতে বৈঠক ডাকেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। সেখানে বাদী নিপুণ এবং বিবাদী জায়েদ ও চুন্নুকে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল।

কিন্তু এদিনের বৈঠকে নিপুণ হাজির থাকলেও দেখা মেলেনি জায়েদ ও চুন্নুর। এরপর এক পক্ষকে নিয়েই বৈঠকে বসে আপিল বোর্ড। সেখানে তারা নিপুণের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে জায়েদ ও চুন্নুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের প্রমাণ পায়। এর পরই নিপুণের পক্ষে ও জায়েদদের বিপক্ষে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন সোহানুর রহমান সোহান।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest