ঢাকা ১১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২২
যশোর অফিসঃ বেনাপোল সানরাইজ পাবলিক স্কুলের কেজি শ্রেনীর এক ছাত্রীকে নির্মমভাবে আঘাত করায় ওই স্কুলের রাশিদা খাতুন নামে একজন নারী শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সানরাইজ স্কুলের কেজী শ্রেনীর ছাত্রী তাবাসুমকে (৬) হাতে ১২টি এবং পিঠে সহ অন্যান্য জায়গায় আরো ৬টি বেত্রাঘাত করায় ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। বর্তমানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বেনাপোল দিঘিরপাড়ে অবস্থিত সানরাইজ পাবলিক স্কুলে মঙ্গলবার এ ঘটনাটি ঘটে।
তাবাসুমের পিতা বাবু জানায়, আমার মেয়ে তাবাসুম ওই স্কুলে কেজি শ্রেনীর ছাত্রী। তাকে স্কুলের শিক্ষিকা রাশিদা খাতুন অহেতুক বেদম ভাবে প্রায় ১০ মিনিট যাবৎ থেকে থেকে প্রহর করে। এতে তাবাসুম অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। স্কুলের কোন শিক্ষক বিষয়টি আমলে নেয়নি। আজ বুধবার স্কুলে বিচার নিয়ে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ইনামুল হক এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্য রাশিদা খাতুন নামে ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে।
ওই ছাত্রীর দাদা আব্দুর রউফ জানায়, স্কুলের শিক্ষকরা অবৈধভাবে বেতন ভাতা বেশি আদায় করে। কেজি শ্রেনীর একজন ছাত্রীর জন্য মাসিক বেতন দিতে হয় ২ হাজার টাকা। করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকলেও ওই শিক্ষকদের চাপে স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে হয়েছে। আজ স্কুলে যেয়ে দেখলাম আরো ১০/১২ জন অভিভাবক স্কুলে বিচার দিতে এসেছে তাদের ছেলে মেয়েদের একই ভাবে প্রহার করার অভিযোগ নিয়ে।
এবিষয় ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইনামুল হক বলেন, এরকম একটি ঘটনায় স্কুলের শিক্ষিকা রাশিদাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST