খুলনার দাকোপে তরমুজ চাষের সরঞ্জামের মুল্য অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২২

গোলাম মোস্তফা খান,দাকোপ,খুলনা।
দেশের সেরা তরমুজের চাষ হয় খুলনার গোটা দাকোপ উপজেলায়।গতবছর এখানে ৪ হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়। বিক্রি হয় হাজার কোটি টাকার বেশি।এবার ৭৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে। বীজ রোপন প্রায় শেষ। কিন্তু তরমুজ চাষকে কেন্দ্র করে চাষের সকল সরঞ্জামের মুল্য দোকানমালিকরা অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি করেছে বলে তরমুজ চাষি আলামিন শেখ,দেবানন্দ মন্ডল সহ অনেকের অভিযোগ। তরমুজ চাষিরা জানান ক্ষেতে পানি দেওয়া যে ফিতা পাইপের মুল্য ছিল মাত্র ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজি তা এখন চালনাবাজারে বিক্রি করছে ২২০ টাকা কেজি,পানির ড্রাম যার প্রতিটির মুল্য ছিল মাত্র ৮৫০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ থেকে ১২৬০ টাকা, ইয়ারমালি পাকিজা বীজ প্রতি ১০০ গ্রাম আগে বিক্রি হয়েছে২৭/২৮০০ টাকা এখন মুল্য ৩৫০০/৩৬০০ টাকা। পলিথিন ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে একখ চাষিদের কাছে বিক্রি করছে ২১০ টাকা কেজি।এ ছাড়া পাম্প মেশিন,প্লাষ্টিকের পাইপ,সার সহ যত প্রকার তরমুজ চাষের সরঞ্জাম আছে সকল দ্রব্যের মুল্য হুট করে অস্বাভাবিক হারে দোকানদাররা বৃদ্ধি করে দেওয়ায় অপেক্ষাকৃত গরীব চাষিরা তরমুজ চাষে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে বলে এ প্রতিনিধির কাছে জানান। এবার দাকোপ উপজেলায় ৭৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে, বড় ধরনের কোন দুর্যোগ না হলে কমপক্ষে দেড়হাজার কোটি টাকার তরমুজ অনায়াসে বিক্রি হবে। এখন পর্যন্ত মাঠের অবস্থা বেশ ভাল মনে হচ্ছে সরেজমিন ঘরে দেখা যায়। তবে কৃষক ও ক্রেতাদের বড় বড় অভিযোগ বড় কষ্টের বিষয় যোগাযোগ ব্যাবস্থা। ২/৩ টি নদী পার হতে হয় বলে ২/৩ শ কোটি টাকার অপচয় হয়।যা কৃষকদের ক্ষেতের ফসলের মুল্য থেকে কাটা যায়।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest