কোম্পানীগঞ্জে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া নৈরাজ্য

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০

কোম্পানীগঞ্জে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া নৈরাজ্য

বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
করোনাকালীন সময়ে কয়েক দফা লকডাউন করা হয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে।
এ সময়ে গণপরিবহন সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বি-গুণ এমনকি তিনগুণও নেয়া হয়। প্রতি সিএনজিতে দুইজনের বেশি যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও ঝুকিপূর্ণভাবে পাঁচজন করে যাত্রী বহন করেও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় যাত্রীদের এই নাভিশ্বাস অবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শারিরীক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য দুইজন যাত্রী বহন করার শর্তে চাপ্রাশিরহাট থেকে বসুরহাট পর্যন্ত জনপ্রতি ২৫ টাকার স্থলে ৫০ টাকা এবং বাংলাবাজার থেকে বসুরহাট ৩০ টাকার স্থলে ৬০ টাকা নেয়ার জন্য সাময়িক নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু বর্তমানে যাত্রী সংখ্যায় নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে প্রতিটি সিএনজিতে পাঁচজন করে যাত্রী বহন করেও দুইগুণ ভাড়া আদায় করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, করোনার এ দুঃসময়ে মানুষ যখন অর্থনৈতিক সংকটে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে না। কাজ নেই বেকার হয়ে পড়ে আছে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে।
ঠিক সেই সময়ে এ সকল অনিয়ম সাধারণ মানুষের জন্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মাসুদ জানান, আমরা প্রশাসনের সাথে বসে ড্রাইভার এবং যাত্রীদের কথা চিন্তা করে চাপরাশিরহাট থেকে তিনজন হলে জনপ্রতি ৪০ টাকা আর দুইজন হলে জনপ্রতি ৫০ টাকা এবং বাংলাবাজার থেকে দুইজন হলে জনপ্রতি ৫০ টাকা তিনজন হলে জনপ্রতি ৪০ টাকা করে নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছি। কিন্তুু পাঁচজন করে যাত্রী নেয়ার বিষয়টা আমার জানা নেই। আর কেউ যদি পাঁচজন করে নেয় তাহলে আগের নিয়মে ভাড়া দিবেন। যদি কেউ বেশি টাকা দাবি করে তাহলে স্ব-স্ব স্থানে লাইনম্যানকে জানাবেন অথবা গাড়ির নাম্বার নিয়ে সমিতিকে জানাবেন।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রবিউল হক বলেন, সিএনজি মালিক সমিতি, শ্রমিক সমিতি কিংবা বাস মালিক সমিতির কেউ ভাড়ার বিষয়ে আমাদের সাথে কোনদিন কোনো আলোচনায় আসেন নি।

এমনকি কোন যাত্রীও আমাদের কাছে কখনো কোন অভিযোগ করেনি। তিনি আরো উল্লেখ করেন, কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো এবং যথাযথ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবো।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest