ঝালকাঠির নবগ্রাম বাজারে গভীররাতে অগ্নীকান্ডে একাধিক দোকান পুড়ে ছাই

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২২

ঝালকাঠির নবগ্রাম বাজারে গভীররাতে অগ্নীকান্ডে একাধিক দোকান পুড়ে ছাই

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি॥ ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন নবগ্রাম বাজারে গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঢুকতে না পাড়ায় বিকল্প পথে অগ্নিকান্ডের স্থানে আসতে বিলম্ব হওয়ায় একাধিক দোকান পুড়ে পুড়ে ছাই। শুক্রবার ১৮মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক সোয়া ১টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারের নৈশ প্রহরি চিৎকার করে এবং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাইক থেকে মাইকিং করলে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে আগ্নিকান্ড শুরুর আনুমানিক আধা ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনা স্থলে পৌছে দীর্ঘ আনুমানিক ২ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
এ বিষয় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক ফিরোজ কুতবীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “রাত আনুমানিক ১:৩০ মিনিটের সময় আমরা আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে নবগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। আমরা ঘটনা স্থলে পৌছাতে নবগ্রাম বাজারের ঢোকার সড়কটি থেকে আমাদের গাড়ী নিয়ে তাৎক্ষনাৎ ঢোকা সম্ভব হয়নি।পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বিকল্প রাস্তা দিয়ে ঢুকতে একটু বিলম্ব হলেও ঘটনা স্থলে পৌছাতে সক্ষম হই। একই সাথে দীর্ঘ আনুমানিক প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিভাতে সক্ষম হই। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। আর ক্ষয় ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধারনা করছি।”
এ বিষয় নবগ্রামের স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায়, রাত আনুমানিক একটা বিশ মিনিটের সময় মাইকে বাজার আগুন লাগার কথা শুনতে পেরে সাথে সাথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে জানাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীকে ফোনে জানাই একই সাথে দৌড়ে ঘটনা স্থানে ছুটে যাই। সেখানে আগুন নিভানোর কাছে লেগে পরি। আগুন লাগার প্রায় আধাঘন্টা পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসলেও ততক্ষনে ৫টি দোকানপুড়ে গেছে যার মধ্যে ইমাম মাঝির মুদি দোকান, সাইদুল ইসলামের মুদি দোকান, বাদশার মুদি দোকান, মনির হোসেনর একটি হোটেল সহ সঞ্জিব হালদারের টেইলার্সে ও দোকান মোট ৫টি দোকান পুড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের কথা জিজ্ঞেসা করলে জানা যায় আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা ধারনা করছেন।
এ বিষয় বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, “নবগ্রাম বাজার তথা হাট পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী হাট যার পূর্বের নাম ছিল শিবগঞ্জ হাট। বাজারে প্রবেশের সড়কটি নবগ্রাম ব্রিজের ঢােেল পাশ দিয়ে হওয়ায় রাস্তার একপাশে ব্রিজের ঢালে থাকা গাইড ওয়াল ও আপরদিকে নবগ্রাম মডেল হাইস্কুলের ভবন থাকায় রাস্তাটি ছোট হওয়ায় সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ারের গাড়ী ঢুকতে পারেনা। কয়েক বছর আগে বাজারের একটি স্বর্নের দোকানে আগুন লাগলে তখনও ফায়ারের গাড়ী ঢুকতে পারেনি। এ বিষয় পূর্বের জেলা প্রশাসক হামিদুল হক স্যারকে জানানো হলে তিনি একদিন বাজার পরিদর্শন করে রাস্তা থেকে যেন গাড়ী চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাষ দিলেও আজও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। বাজারে ব্যবসায়ীরা আরো জানান, বাজারের ভিতরে যেন এ্যাম্বুলেন্স সহ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঢুকতে পারে সে জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।”


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest