করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত বসুন্ধরার ৭৫০ শয্যার হাসপাতাল

প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত বসুন্ধরার ৭৫০ শয্যার হাসপাতাল
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান | বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা | করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী হাসপাতালের ৭৫০ টি শয্যা প্রস্তুত হয়েছে। বাকিগুলোও কয়েক দিনের মধ্যেই প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এমএম জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় তাদের দুই হাজার ৮৪টি শয্যা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে যার ৭৫০ টি প্রস্তুত হয়েছে। এর মধ্যে শেড এলাকায় ৫০০টি এবং ২০০টি কনভেনশন হলগুলোতে। বাকিগুলো আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। তবে প্রয়োজন হলে এটিকে পাঁচ হাজারে উন্নীত করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল নির্মাণের কাজ একেবারে শেষের দিকে। অল্প কয়েকদিনের কাজ বাকি, কাজগুলো শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এটি হস্তান্তর করা হবে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং আইসিসিবি কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে মিটিংয়ে বসবে। সেখানে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম বলেন, প্রায় এক হাজার বেড প্রস্তুত। বেশিরভাগই স্থাপন (৭৫০) করাও হয়ে গেছে। বাকি এক হাজার বেডও এখানেই আছে। কার্পেট বিছানো হলে সেগুলোও এখানে বসিয়ে দেয়া হবে। যদিও দুই দিন বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। প্রকৌশলী মাসুদুল আলম আরও বলেন, এ মাসের শেষ নাগাদই তারা হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন বলে আশা করেন। এরপর স্বাস্থ অধিদপ্তর তাদের লজিস্টিক সাপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কবে ঠিক করবে নাগাদ এটা চালু করবে। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest