“ফ্রি খাবার বাড়ীর” ও একজন উদ্ভাবক মিজান

প্রকাশিত: ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

“ফ্রি খাবার বাড়ীর” ও একজন উদ্ভাবক মিজান

এসএম স্বপন, যশোর প্রতিনিধিঃ পথ চলাটা সহজ ছিল না তার। নিজ উদ্ভাবনী শক্তি আর নতুন কিছু সৃষ্টির একক ইচ্ছায় তাকে আজ একজন উদ্ভাবক মিজান তৈরি করেছে। শার্শাবাসী তথা দেশবাসী তাকে উদ্ভাবক মিজান হিসাবেই চেনে।
আর তার পিছনের গল্পটাও অনেক কঠিন ছিল। দারিদ্রতার মাঝে বেশি দূর লেখাপড়া শিখতে না পারলেও, নিজ প্রচেষ্টা ও নিজের মেধা খাটিয়ে আজ তিনি দেশ সেরা উদ্ভাবক।

উদ্ভাবনার পাশাপাশি তার ছিল সৃষ্টির প্রতি গভীর টান ও ভালবাসা। সৃষ্টিশীল কাজের প্রতি তার ছিল একাগ্রতা। ভালবেসে মানুষের মনকে জয় করায় ছিল তার নেশা।
আর তাই করোনা কালিন এই দূর্যোগময় সময়ে জীবের প্রতি ভালবাসা দেখিয়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। করোনায় মানুষের সুরক্ষার জন্য মাস্ক সহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি শার্শায় পথ শিশু ও ভারসাম্যহীন পাগলসহ ক্ষুধার্থ মানুষের দু’মুঠো খাবার খাওয়ানোর ব্রত নিয়ে ‘ফ্রি খাবার বাড়ীর’ গড়ে তুলেছেন।

“ক্ষুধা লাগলে খেয়ে যান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যশোরের শার্শায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার নাভারনে বুরুজবাগান উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের একক উদ্যোগে এই খাবার বাড়িটির উদ্বোধন করা হয়।

বুরুজবাগান উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বাদল নার্সারীর ভেতরে এই খাবার বাড়িটি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আর বাদল নার্সারীর মালিক বাদল হোসেনের পরিচালনায় এই ফ্রি খাবার বাড়িটি পরিচালিত হচ্ছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল আলোড়ন সৃষ্টিকারী কিছু করার। কিন্তু মেধাবী হওয়া স্বত্তেও, অভাব অনটনের সংসারে, সংসারের হাল ধরতে বাদ দিতে হয় লেখাপড়া। তাই বলে নিজের ইচ্ছে শক্তি কমে যায়নি। নতুন কিছু সৃষ্টি করা আর জীবের প্রতি ভালবাসা লালন করেছি হৃদয়ে। মানুষের দুঃখ কষ্টে ঘরে বসে থাকিনি। যতটুকু সম্ভব সাহায্যের হাত নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। নিজে দরিদ্র ছিলাম, তাই অন্যের দারিদ্রতাও বুঝি। পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্ভাবনার নেশায় ছিলাম পাগল। উদ্ভাবন করেছি অনেক কিছু। যা আমার প্রাণপ্রিয় শার্শাবাসী জানে আর তারা স্বচক্ষেও সব কিছু দেখেছে। আর আমাকে সাহস জুগিয়ে গড়ে তুলেছে দেশসেরা উদ্ভাবকে।

তিনি শার্শাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, যতদিন আমি আছি, ততদিন ফ্রি খাবার বাড়িটিতে অসহায়দের ফ্রি খাবার খাওয়াবো। আর যতদিন পারি এই খাবার বাড়ির কার্যক্রম পরিচালিত রাখবো। একাজে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest