শাহাব উদ্দিন আহমেদ ,কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা দামাচাপা দেয়ার তৎপর সবাই বিচার না আত্নহত্যা করবো পেলে মেয়েটি আত্নহত্যা করবে বলে একটি ভিডিও ফুটেজ পাঠিয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষন সেই ঘটনায় মামলা হলেও আসামী প্রকাশ্যে চলাচল করতেছে এমন অভিযোগ করেছে কলেজ ছাাত্রী কুলসুমা মামলার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামীকে আটক করতে পারেনি। অপরদিকে ধর্ষণটি দামাচাপা দেয়ার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। দায়ের কৃত মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী বলছে, এর সুষ্টু বিচার না পেলে সে অতœহত্যা করবে। আর আত্নহত্যা জন্য ঐ প্রভাবশালী মহল দায়ি থাকবেন।
জানা যায়, কমলগঞ্জের আব্দুর গফুর মহিলা কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মধ্যভাগ গ্রামের হান্নান মিয়ার মেয়ের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় দুবাই ফেরত যুবক ঘোষপুর গ্রামের মছকন মিয়ার ছেলে মছলম মিয়ার। পরবর্তীতে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৮সেপ্টেম্বর সকালে ছাত্রী কলেজ থেকে তার সার্টিফিকেট নিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে কলেজে আসছিল। পথিমধ্যে রানীরবাজার নামক স্থানে পৌঁছলে কথিত প্রেমিক কলেজ ছাত্রীকে বহনকারী আটোরিকশা আটকে জোরপূর্বক অপর অটোরিকশায় তোলে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে শমসেরনগর চা বাগানে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে কলেজ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই দিন বিকালে তাকে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে কথিত প্রেমিক পালিয়ে যায়। বর্তমানে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে বাড়ীতে অবস্থান করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কলেজ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি সময়ে বিষপান করার কথা উল্লেখ করে তার সাথে থাকা লোকটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১২ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন কলেজ ছাত্রীর পিতা হান্নান মিয়া। কমলগঞ্জ থানার মামলা নং ১২। মামলায় প্রেমিক মছলম মিয়াকে আসামী করা হয়েছে।

এদিকে মামলার করার পর থেকে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য অভিযুক্ত মছলম মিয়া স্থানীয় সরকার দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত একটি প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগাযোগ করে। প্রভাবশালী মহলটি বিশাল অংকের বিনিময়ে বিষয়টি দফারফা করার আশ্বাস দিলে অভিযুক্ত মছলম মিয়া বীর দরর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। প্রভাবশালী মহলটি ইতিমধ্যে ধর্ষনের শিকার কলেজ ছাত্রীর পিতাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। তারা বলছেন ,মামলা করে কোন লাভ নেই। তোমার মেয়ের জন্য কিছু ক্ষতি পূরণ আদায় করে দিচ্ছি। মেয়েকে ভালো জায়গায় বিয়ে দিয়ে দাও।

আলাপকালে কলেজ ছাত্রী বলেন, আমি আইনের মাধ্যমে আমার সঠিক বিচার চাই। প্রভাবশালীরা যদি আমার বিচার প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করে ,তবে আমি আত্বহত্যা করবো। আর আমার আত্বহত্যার জন্য ঐ প্রভাবশালীরাই দায়ী থাকবে।কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীকে আটকের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।