ঢাকা ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২২
শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জঃ “পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালিটি সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য যাদুঘর প্রাঙ্গণ শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সুনামগঞ্জ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি ডা. মনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদ আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার সুনামগঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, অবঃ লে: কর্ণেল আতাউর রহমান পীর, প্রফেসর ন্যাথানেল ফেয়ারক্রস এড উইন, সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া, নুরুর রব চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রবীণ হিতৈষী সংঘের নেতৃবৃন্দ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভিন্ন দাবি তোলে ধরেন। প্রবীণদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণসহ প্রবীণ নিবাসের জন্য জায়গার বন্দোবস্ত করা, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা ও সিনিয়র সিটিজেনশিপ হিসেবে মর্যাদা দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি তোলে ধরা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার সুনামগঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, প্রবীণদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বয়স্কভাতা চালুসহ ২০১৩ সালে সরকার পিতা-মাতার ভরনপোষন আইন করেছে। এছাড়াও প্রবীণদের কিভাবে ভালো সুবিধা প্রদান করা যায়, সরকার তাই নিয়ে চিন্তা করছে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বয়স্করা বোঝা নয়, তাঁদের অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে পরিবার ও সমাজকে অনেক কিছু দেওয়া যায়। আসুন নবীণ প্রবীণ মিলে সুন্দর একটা দেশ গড়ে তুলি।
তিনি বলেন, সন্তানদের মানবিক মুল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। সন্তানদের ভালোভাবে গড়ে তুললে তারা পিতামাতার খোঁজখবর নিবে, সেবাযত্ন করবে। প্রবীণদের প্রতি সরকার খুবই আন্তরিক। সরকার প্রবীণদের সমস্যা অনুধাবন করে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবেও সহযোগিতা করবো।
প্রধান অতিথি বলেন, আমি জাপানে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখেছি প্রবীণরা রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে। ভ্রমনে বের হয়েছিলাম। প্রবীণরা আমাদের গাইড হয়ে কাজ করছে। তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম তাঁরা স্বেচ্ছাশ্রমে এসব করছেন। কেনো করছেন জিজ্ঞেস করেছিলাম। তাঁরা বললেন, দেশের জন্য করছি। কাজ করলে শরীর ও মনও ভালো থাকে। আমাদের দেশের প্রবীণরাও সেচ্ছাসেবী হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে পারেন। এভাবে স্বাস্থ্যগত ও মনের দিক দিয়েও ভালো থাকা যায়।
আলোচনা সভা শেষে আশি উর্ধ্ব প্রবীণদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST