দল থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া অগঠনতান্ত্রিক-নুরুল হুদা মুকুট

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২

দল থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া অগঠনতান্ত্রিক-নুরুল হুদা মুকুট

শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জঃ
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে আমাকে জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি পদসহ দলীয় পদবী থেকে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অব্যাহতি প্রদান করেছেন
যা অগঠনতান্ত্রিক, নির্লজ্জ ও মিথ্যাচারিতা।

মুকুট বলেন, জেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি জরুরী সভা আহব্বান করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে নাকি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে প্রকৃতপক্ষে ওই জরুরী সভায় এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি এবং কেউ আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধও করেনি। এছাড়াও ওই সভায় কোরাম হয়নি। অনেক পদধারি সদস্যদের দাওয়াত করা হয়নি। জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এসব বেআইনি কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানাই।

মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় সুনামগঞ্জের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মুকুট বলেন, গঠনতন্ত্রের ৪৬ ধারায় বর্ণিত আছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর জন্য সুযোগ দানে সাধারণ সম্পাদক নোটিশ দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু আমাকে এখনো কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়নি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটরদের বিভ্রান্ত করতেই তারা এসব কার্যকলাপ করছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি কোনদিনও দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করিনি। যদি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দলীয় প্রতীক নৌকা পেতেন তাহলে আমি অবশ্যাই নির্বাচন বর্জন করতাম। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করেছেন। এজন্য দল থেকে আগে তাদেরকে বহিষ্কার করা উচিত।

নুরুল হুদা মুকুট আরো বলেন, আ’লীগের দুঃসময়ে সুনামগঞ্জের রাজপথে থেকে লড়াই করেছি। তখন কোন অতিথি পাখিকে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি। এখন আ’লীগের সু-সময়ে তারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে।
সুনামগঞ্জের রাজপথের বিরোধীরা এখন বড় বড় মিছিল বের করছে। আর জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদক তারা এ সময় ঘাপটি মেরে বসে থাকেন। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে। এদের দ্বারা সংগঠনকে দুর্বল করা ছাড়া আর কিছুই সম্ভব নয়। জেলা আ’লীগকে আরো শক্তিশালী করতে নতুন কমিটি গঠনের বিকল্প নেই।। দলে নতুন নেতৃত্ব দরকার যারা বিএনপি জামাতকে মোকাবেলা করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল কবির শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক শঙ্কর চন্দ্র দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আব্দুল করিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এড. আজাদুল ইসলাম রতন, বন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শীতেষ তালুকদার মঞ্জু, তাহিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন, সদস্য এড. কল্লোল তালুকদার চপল, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তি দাস, যথীন্দ্র মোহন তালুকদার প্রমুখ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest