পটুয়াখালীতে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত: ১০:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২২

পটুয়াখালীতে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম

বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডুকে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা । আহত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নেছার মাহমুদ (২৭) এবং লেবুখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন (৪৮) এই অভিযোগ করেছেন। তারা পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার ( ১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের কর্তিকপাশা বাজারের হাওলাদার মেডিক্যাল হলে এঘটনা ঘটে।

দুমকি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নেছার মাহমুদ বলেন, কার্তিকপাশা বাজারে আমাদের ঔষধের দোকান রয়েছে । প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালে ওই ঔষধের দোকানে যাই। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই যুবলীগ নেতা মোঃ মিজান মৃধা(৪৫), মোঃ ফিরোজ মৃধা(৩৫), মোঃ কাওসার (২২) ও মোঃ জাহিদসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০/১২ জন লোক এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় আমাকে এবং আমার বড় ভাই মোঃ সোহরাব হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিএনপির আহ্বানে দুমকি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচিসহ ও বিক্ষোভ-সমাবেশে করার কারণে আমাদেরকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার (০৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বসেও আমার উপরে হামলা করতে তারা। এতে আমি পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।

লেবুখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুমকি নাসিমা কেরামত আলী বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদেরকে কুপিয়ে দোকানের মধ্যে ফলে রেখে যায়। ওরা যাওয়ার সময় নগর টাকাসহ দোকান থেকে অনেক ওষুধ নিয়ে গেছে।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মুনিরা আক্তার খানম জানান, দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা মোঃ মিজান মৃধা বলেন, প্রথমে আমার ছোট ভাই ফিরোজ মৃধাকে চেয়ার পিটান দিয়েছেন নেছার। একজনকে চেয়ার দিয়ে পিটালে সে কি চুপ করে বসে থাকবে বলেন? এঘটনায় আমার ভাই ফিরোজও আহত হয়েছে। আপনি যুবলীগের কোন পদে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক বিষয় না।

এবিষয়ে জানতে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest