ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২২
বিশেষ প্রতিনিধিঃমামলার বিবরনী মোতাবেক জানা যায়, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহজাহান চৌকিদার এর বড় ছেলে মোঃ জামাল হোসেন (৪০) ২০ বছর পূর্বে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার নবাব বাড়ি’র মোঃ চান মিয়াঁ এর মেয়ে হালিমা বেগমকে (৩৫) ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভী জামাল বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবার মিলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরপর বিয়ের পাঁচ বছর পরে অনুমতি ব্যতীত নিলুফা বেগম নামে একজন নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। এর ফলে তাদের পরিবারে আরো বেশি কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে চলে যায়। এরপর ২০০৭ সালে বাড়ির পাশে সোনিয়া বেগম নামে অন্য এক মেয়েকে তৃতীয় বিয়ে করেন তার স্বামী। তৃতীয় স্ত্রী সোনিয়া বেগমের কুপরামর্শে প্রথম স্ত্রী হালিমা বেগম এর নিকট ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করলে ও যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ২৩ এপ্রিল (শনিবার) বিকাল তিনটায় তার স্বামী জামাল তৃতীয় স্ত্রী ছনিয়া বেগমের কুপরামর্শে বসত ঘরের রান্না ঘরে নিয়ে বাঁশ দিয়ে
এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ডান ও বাম হাতে হাড়ভাঙ্গা জখম করে এবং সাথে সাথে ছনিয়া বেগমও কিল ঘুষি মারে। উক্ত ঘটনা দুমকি থানা পুলিশকে জানালে তারা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।
উক্ত ঘটনায় প্রথম স্ত্রী হালিমা বেগম বাদী হয়ে দুমকি থানায় নারীও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন- (১) স্বামী- মোঃ জামাল হোসেন পিতা- শাহজাহান চৌকিদার (৪০) (২) সতীন- মোসাঃ ছনিয়া বেগম (২৮) স্বামী- জামাল হোসেন। উক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জামালের মাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এক প্রশ্নের জবাবে জাগরণকে বলেন, আমার ছেলে ও ছনিয়া একবারে খারাপ কাজ করেছে। আমি হালিমাকে সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে তার সাথে আছি।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST