ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বরিশাল নদীবন্দর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিগত কয়েক বছরের হিসেব অনুযায়ী উজান থেকে আসা নদীর পানির সঙ্গে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মেট্রিকটন পলি আসে। যারমধ্য থেকে ৪০ শতাংশ পলি দেশের বিভিন্ন নৌপথে প্রাকৃতিক কারণে জমে থাকে। যার কারণে প্রায় প্রতিবছরই নৌপথকে সচল রাখতে খনন কাজ করতে হয়। তবে এবারে উজানের পানি ও বন্যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে বরিশাল অঞ্চলে ২০ থেকে ৩০টি পয়েন্টের নাব্যতা সঙ্কটের তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। যারমধ্য থেকে প্রথম পর্যায়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। যেমন পিরোজপুরের তুষখালী নদীর একটি পয়েন্টে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের লোহালিয়া ও কারখানা নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে, বরিশাল-ঢাকা রুটের কালিগঞ্জে, বরিশাল নদীবন্দর এলাকায়, বরিশাল-ভোলা রুটের লাহারহাট ও ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়, বরগুনার খাকদন নদীর একটি পয়েন্টে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ প্রকৌশলী বলেন, এ মুহুর্তে বৃহত্তর বরিশাল বিভাগ বা অঞ্চলে আমাদের সাতটি ড্রেজার মেশিন নিযুক্ত করা হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আরও তিনটি ড্রেজিং মেশিন খনন কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, বরিশাল অঞ্চলের নৌপথে এ মৌসুমে আমাদের ৩০ লাখ কিউবিক মিটার পলি/বালু ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অপসারণের চিন্তাভাবনা রয়েছে। যারমধ্যে শুধু বরিশাল নদীবন্দর এলাকায়ই ১ লাখ কিউবিক মিটার পলি/বালু ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।
সব স্থানে ড্রেজিংয়ের পলি/বালু রাখার জায়গা না থাকার বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আমরা নদীতে ড্রেজিং করা বালু/পলি ফেরবো। যদিও বিষয়টি নদীর গভীরতা ও স্রোত ওপর নির্ভর করবে। তবে যদি কেউ বিনামূল্যে এ বালু নিতে চান সেক্ষেত্রে তাকে সেই সহায়তা দেওয়া হবে।
সভায় বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, যেসব নদীর তীরে আমাদের জায়গা রয়েছে, সেখানে আমরা ড্রেজিংয়ের বালু বা পলি ফেলবো। তবে যেখানে জায়গা নেই সেখানেই নদীতেই ফেলতে হচ্ছে। আর তা নিয়ম মেনেই করা হয়।
সভায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শাহনেওয়াজ কবির, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ, বরিশাল নৌসংরক্ষণ বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, লঞ্চ মালিক সমিতির সুলতান মাহামুদ, কাজী ওয়াহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন লঞ্চের মালিক-চালকরা উপস্থিত ছিলেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST