ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২২
বিশেষ প্রতিনিধিঃজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গভর্নিং বডি গঠনে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুড়ান্ত ভোটার তালিকা না করেই অনিয়মিত ও চাকুরীতে সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষক সমন্বয়ে তৈরীকৃত খসড়া ভোটার তালিকার মাধ্যমে শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক সদস্য, প্রতিষ্ঠাতা, দাতা ও হিতৈষী ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচনের তৎপড়তা চলছে। কলেজের নোটিশ বোর্ডে কোন তফসিল না টানিয়ে এবং স্থানীয় পত্রিকায় কোন তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। বিনা ভোটে বিভিন্ন ক্যটাগরিতে অনুগত সদস্য মনোনীত করে একতরফা ভাবে গভর্নিং বডি গঠন করার অপচেষ্টা করছেন অধ্যক্ষ আহসানুল হক। সাধারণ শিক্ষকদের মতামতের তোয়াক্কা ছাড়াই একক সিদ্ধান্তের এমন কমিটি গঠন তৎপড়তায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কলেজটির একাধিক শিক্ষক জানায়, ইতোপূর্বে অধ্যক্ষ আহসানুল হকের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূত নিয়োগ, জাল-জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থআত্মসাৎ ও নারী কেলেঙ্কারীর নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ ধামাচাপা দিতেই একান্ত অনুগত লোকদের মাধ্যমে পছন্দসই গভর্নিংবডি গঠনের অপতৎপড়তায় তিনি লিপ্ত হয়েছেন। একারণে কলেজটিতে বিনা ভোটে অধ্যক্ষ আহসানুল হকের হাতে নিয়মিত গভর্নিং বডি তুলে দিলে কলেজের সকল একাডেমিক কার্যক্রম ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করেন কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীসহ এলাকাবাসী।
সাধারণ শিক্ষকদের অভিযোগ, মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ কলেজে কখনো অভ্যন্তরীণ অডিট হয় না। কোন শিক্ষক অভিভাবক বা এলাকাবাসী দুর্নীতি নিয়ে কথা বললে তাদের মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখানো হয়। যে কারণে কলেজটির সাধারণ শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ এবং এলাকাবাসী নিয়মতান্ত্রিকভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক গভর্নিং বডির কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ইন্সপেক্টর কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র কলেজ অধ্যক্ষের কাছে নির্বাচনের ভোটার তালিকা চাইলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। কারণ অধ্যক্ষ সাহেব এই ভোটার তালিকাও সম্পন্ন করতে পারেনি। তিনি (অধ্যক্ষ) অবৈধ অর্থবিত্তের প্রভাবে এমনও ঘোষণা দেন যে, প্রয়োাজনে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হলেও তার মতে কমিটি গঠনে পিছপা হবেন না ।
এমতাবস্থায় কলেজটির সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারি, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী অধ্যক্ষের এহেন অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির লাগাম টানতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ আহসানুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কলেজ গভনির্ংবডি নিয়ে স্থানীয় অপজিশন গ্রুপ রয়েছে। যারা এসব বনোয়াট অভিযোগ ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST