ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২২
এম কে ,কামরুল ইসলাম নলছিটি ঝালকাঠি,
খাজুরিয়া গ্রামের সন্তান রহমত
উল্লাহ নওশাদ (৩৮)কে নারায়নগঞ্জে কাঞ্চন পৌরসভা থেকে ভুয়া এসআই সেজে
চাঁদাবজীর সময় পুলিশ গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক
চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌর কার্যালয় থেকে
পুলিশের পোষাক পরিহিত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা বৃহস্পতিবার নলছিটি
উপজেলাসহ নওশাদের নিজ এলাকায় ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়দের মাঝে এ আলোচনার জন্ম
হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নওশাদ নলছিটি পৌরসভার খাজুরিয়া গ্রামের বীর
মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মকবুল ওরফে কবির উদ্দিনের ছেলে ও নলছিটি পৌরসভার
সাবেক কাউন্সিলর ছালাম হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে বলে স্থানীয় সূত্রে
জানাগেছে।
কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম পুলিশকে জানায়, বুধবার (১৭ আগষ্ট)
পৌনে এগারটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয়ে রহমত উল্লাহ
নওশাদ পৌরসভা কার্যালয়ে আসে। সেখানে কাঞ্চন পৌরসভায় অবাধে ইভটিজিং, কিশোর
গ্যাং, চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম চলছে বলে
ভূয়া পুলিশ নওশাদ অভিযোগ করে।
এসব কার্যক্রমে মেয়র রফিকুল ইসলামেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সে দাবী
করেন। এসময় অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে তাকে টাকা দিতে হবে অন্যথায় মেয়রেরও
ক্ষতি হবে মর্মে কথিত এস আই নওশাদ হুমকি দেয়। এবিষয় মেয়র রফিকুল ইসলাম
শুনলে তার সন্দেহ হয়। তিনি এ বিষয়ের সততা জানতে রূপগঞ্জ থানার ওসির কাছ
ফোন দিয়ে জানতে চান।
এধরনের কোন বিষয় ওসি জানেনা উল্লেখ সরে পৌরসভা কার্যালয়ে তাকে বসিয়ে
রাখতে বলে থানা থেকে পুলিশ পাঠান। পরিস্থিতি টের পেয়ে ভুয়া এসআই রহমত
উল্লাহ নওশাদ পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। ইতিমধ্যে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ
পৌরসভা কার্যালয়ে পৌছে নওশাদকে আটক করে।
এরপর থানা পুলিশের সাথে আলাপ করে কাঞ্চন পৌরসভার কর্মচারী আল-আমিন
বাদী হয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ভূয়া এসআই রহমত উল্লাহ নওশাদ
কে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, গ্রেফতারকৃত ভুয়া
এসআই রহমত উল্লাহ নওশাদের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত পুলিশের পোষাক, ব্যাচ ও
বেল্ট জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় ও ঢাকার
মতিঝিল থানায় প্রতারণার একাধিক মামলাসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। একাধিক বার এ
ধরনের প্রতারণা কালে পুলিশের হাতে আটকও হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ভুয়া এসআই নওশাদ ১০/১২ বছর পূর্বে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টার
হিসেবে চাকুরী করতেন। তবে চাকুরি কালে সে একাধিক অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে
ধরা পড়ে চাকুরীচ্যুত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের পোশাক পড়ে
বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা-জালিয়াতীর করে আসছিল।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST