বরিশালের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের নামে ১২টি জিডি করা হয়েছিল তারপরও সে তার কর্মস্থলে বহাল

প্রকাশিত: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০

বরিশালের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের নামে ১২টি জিডি করা হয়েছিল তারপরও সে তার কর্মস্থলে বহাল

শফিউর রহমান কামাল বরিশাল ব্যুরোঃ বরিশাল নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ জগদীশ সারস্বত গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শাহ্ আলমের বিরুদ্ধে আলোকিত সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বেরিয়ে আসছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর। বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক শাহ্ আলমের বিরুদ্ধে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, অকারণে চাকরিচ্যুত করার হুমকি,শিক্ষার্থী কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং সেই টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে নম্বরে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করাসহ একাধিক অভিযোগ। প্রধান শিক্ষকের এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসন ও সাবেক স্কুল কমিটির কাছে অভিযোগ দিয়েও তারা কোন সুফল পায়নি এছাড়া তার নামে বারটি জিডি করা হয়েছিল প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের যোগদানের পর থেকে শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের সাথে অশোভন আচরণ এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে আসছিল এমনকি চাকরির হুমকিও প্রদান করেছিল এছাড়া এই মর্মে তারা যে ১২টি জিডি করেছিল তার জিডি নম্বর, নাম, এবং তারিখ নিম্নে দেওয়া হল ১৬/০৮/২০১৮ইং ১/কাওসার হোসেন জিডি নং-৯০৭,২/আব্দুল মজিদ জিডি নং -৮৯২,৩/জাহাঙ্গীর হোসেন জিডি নং -৮৮৮,৪/সীমা রানী মৃধা জিডি নং -৮৯৪,৫/রাহিমা আক্তার লাকী জিডি নং-৮৮৯,৬/রোজিনা মমতাজ নুপুর জিডি নং-৮৯৮,৭/সন্ধ্যা রানী ঘোষ জিডি নং-৮৯১,৮/এমদাদুল্লাহ আব্দুহু জিডি নং-৯০১,৯/নেহার বেগম জিডি নং-৯০৩,১০/সন্ধ্যা রানী চক্রবর্তী জিডি নং-৯০৫,১১/রাহিমা বেগম জিডি নং-৮৯৬,১২/আরতী বিশ্বাস জিডি নং-৮৯৯। সরেজমিনে ও লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এত দিন ভালোই চলছিল গত ২/১০/১৯ ইং সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোঃ শাহ আলম যোগদানের পর থেকেই নানান রকমের সমস্যার শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি জড়িয়ে পড়েন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে । এমনকি তিনি সব সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। সম্প্রতি তিনি সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণ করতে গিয়ে বাকবিতন্ডায় জরিয়ে পরেন এক পর্যায়ে তিনি লাঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষকদের কাছে। প্রধান শিক্ষক এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যেন কেউ দেখার নেই। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের দাবি তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক শাহ্ আলমের অনিয়ম ও দুর্নীতির আসল চিত্র।কিসের জন্য এবং কাদের ছত্রছায়ায় সে এখনো চাকরিতে বহাল আছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আশা করি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত এই ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest