ঢাকা ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি-ঢাকাঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। দিবসটিকে কেন্দ্র করে তিন বাহিনী বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটির তাত্পর্য তুলে ধরা হবে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। সেদিন থেকেই দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আগে তিন বাহিনী ভিন্ন ভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করত। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিন বাহিনী দিবসটিকে সম্মিলিতভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই থেকে ২১ নভেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করে নেওয়াই এই দিবসের মূল তাত্পর্য। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনীর ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি-অগ্রগতি কামনা করা হবে। ভোরে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোত্সর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এরপর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। তিন বাহিনীর প্রধানগণ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করবেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST