অনুমোদনহীন হাসাপাতাল,ক্লিনিক বন্ধের আইনি নোটিশ দিল সুপ্রিমকোর্টঃ

প্রকাশিত: ২:২৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯

অনুমোদনহীন হাসাপাতাল,ক্লিনিক বন্ধের আইনি নোটিশ দিল সুপ্রিমকোর্টঃ

মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকাঃ
অনুমোদন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য সচিবসহ ৬ জনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এ নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন)।
নোটিশে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আইন মোতাবেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। যদি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানানো হয়েছে নোটিশটিতে।
আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন) বলেন, দ্যা মেডিকেল প্রাকটিশনার অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ব্যতীত কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। এতে ৯ ধারা অনুযায়ী শর্তাবলী পূরণ না হলে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি প্রদান করবেন না।
তিনি বলেন, এসব বিধান থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে ব্যাঙের ছাতা মত দেশের সব জায়গায় অনুমোদনহীন, মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের চেয়ে টাকা উপার্জনই এসব ক্লিনিক মালিকদের মূল উদ্দেশ্যে। ফলে অনেক সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হন।
নোটিশে ২০১৬ সালের ২০ জুলাই বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রচারিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত চিকিৎসক বা দন্ত চিকিৎসকরা তাদের সাইনবোর্ডে, প্রেসক্রিপশন প্যাড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে PGT, BHS, FCPS (Part-I), (part-2), MD-(in course), (part-1), (part-2), (থিসিস পর্ব), (last part), course completed (cc), MS-(in course) ইত্যাদি এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণসমূহ যথা FRCP, FRHS, FICA, FICS, FAMS, FIAGP ইত্যাদি উল্লেখ না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
কারণ এগুলো কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা শিক্ষাগত যোগ্যতা নয় এবং বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত নয়। অনেকেই পোষ্ট গ্রাজুয়েশন না করেও ‘বিশেষজ্ঞ’ শব্দ ব্যবহার করেন। যা জনসাধারণের সাথে প্রতারণার শামিল, বিএমডিসির আইনের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু অনেক চিকিৎসক ওই নির্দেশ অমান্য করে তাদের ভিজিটিং কার্ড, সাইনবোর্ড, প্রেসক্রিপশন প্যাডে এ সব প্রশিক্ষণের এর নাম উল্লেখ করায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest