৩০ ডিসেম্বর ২০১৮: ভোট ডাকাতির উৎসব ও তামাশার নির্বাচনের তিন বছর পূর্তিতে এবি পার্টির বিবৃতি

প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১

৩০ ডিসেম্বর ২০১৮: ভোট ডাকাতির উৎসব ও তামাশার নির্বাচনের তিন বছর পূর্তিতে এবি পার্টির বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালের এই দিনে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে আ’লীগ। এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের ভোট কারচুপির নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য এবং প্রশ্নবিদ্ধ। নিশিরাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ফ্যাসিস্টরা আবারও ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনী সহিংসতা ও নানা অনিয়মের নিন্দা জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র একটি সংস্থার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে চেয়েছিল কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ভিসা এবং অন্যান্য সহযোগিতা না দেয়ায় সেই পর্যবেক্ষণ মিশন বাতিল করতে বাধ্য হয় ওই সংস্থাটি। এতে যুক্তরাষ্ট্র হতাশা প্রকাশ করেছিল বলে সংবাদমাধ্যমে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতদসত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ সরকারকে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু দেখা গেলো, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে নজিরবিহীনভাবে নৈশকালীন কারসাজির মাধ্যমে ভুয়া নির্বাচন করে ফ্যাসিস্টরা তাদের শাসনক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত করে নিয়েছিল।

তারা আরো বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংস্কৃতি বিবেচনায় আমরা মনে করি, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের জন্য আপাতত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কোনো বিকল্প হতে পারে না। যদিও আমাদের তথা এবি পার্টির মূল রাজনৈতিক লক্ষ্য হলো, গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধান ও রাষ্ট্রযন্ত্রের মৌলিক সংস্কার ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জনগণের নাগরিক ও মানবিক অধিকারসমূহ বাস্তবিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আমরা এটাও মনে করি, জনগণের ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা এই ফ্যাসিবাদী অপশক্তিকে হটানোর জন্য গণ-অভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই। শুধু মুখের বুলি কিংবা মৌখিক তর্জন-গর্জনে নয়, বরং দল-মত নির্বিশেষে আজ গণতন্ত্রকামী প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতি আমাদের আহ্বান— আসুন, সব বিভেদ-বিভক্তি একপাশে রেখে জনগণকে সংগঠিত করে রাজপথে জনগণের ভোটাধিকার এবং নাগরিক-মানবিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আমরা একটি অনবদ্য ইতিহাস সৃষ্টি করি।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest