জামিন পেলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পলিন

প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২২

শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জঃ
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে পূর্ব বিরোধের জেরে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নোমান বখত পলিন। রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম তার জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতা সাদাত আল রেজওয়ান রাজের মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় রফিক ও রিপনের পক্ষে মারামারিতে জড়িত হন সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর আরপিননগরের মৃত মকসদ আলীর ছেলে মো. মোশাহিদ রহমান কুটি, সোমপাড়ার নুরুল আহমদের ছেলে শামীম আহমদ ও মল্লিকপুরের সাদ্দাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম আলী। এসময় মারধরের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে এরা তিনজনই আহত হন। আহতরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় মো. মোশাহিদ রহমান কুটি বাদি হয়ে শুক্রবার সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নোমান বখত পলিনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন।

বাকি আসামীরা হলেন- মুক্তারপাড়ার আবদুস সালামের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সাদাত আল রেজওয়ান রাজ, কালিবাড়ির সুদীপ দে’র ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বিশাল দে, একই এলাকার মো. মাহফুজুর রহমানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মো. তানজিলুর রহমান ও আরপিন নগরের ইয়াকুব বখত বাহলুলের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইফতি বখত।

সুনামগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান পলিন ৯০ এর দশকে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মাঝখানে লম্বা সময় কাটে যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি মাটি ও মানুষের ভালোবাসার টানে ফিরে আসেন দেশে। ফের যুক্ত হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার কিছু দিন পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কোঅপ্ট করে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামা লীগের সহসভাপতি করা হয় তাঁকে। অল্প দিনের মধ্যে সজ্জন রাজনীতিক হিসেবে জায়গা করে নেন জনমানুষের হৃদয়ে।

জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বলেন, বখত পরিবার সব সময়ই জনস্বার্থে রাজনীতি করে। দলের হাইব্রিড সুবিধাবাদী কিছু নেতা বখত পরিবারের পরিচ্ছন্ন রাজনীতি সহ্য করতে পারে না। এজন্য তারা ছাত্রদল-যুবদলের ছত্রছায়ায় থেকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিতর্কের জন্ম দিতে চায়। নোমান বখত পলিনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো তাদের ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। তবে সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগ এই পরিবার সচ্ছ ও আদর্শিক রাজনীতিতে সব সময় সমুজ্জ্বল থাকবে।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ বখত রাদ বলেন,
ছাত্রদলের ছেলেরা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির উপর মিথ্যা মামলা দেয়। এবং সেই মামলায় জেলা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাক্ষী।
সম্প্রিতির এই শহরে আপনাদের রাজনীতি মানায় না।

নোমান বখত পলিন বলেন, সুনামগঞ্জ শান্তি ও সম্প্রীতির জনপদ। সেদিন যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা আহত হয়েছে তারা যে দলেরই হোক, আমি তাদের সুস্থতা কামনা করি।

তিনি বলেন, সিনিয়র হিসেবে আমি সেদিন বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে একটা সুন্দর সমঝোতা করতে চেয়েছিলাম। অথচ আমাকেই মামলার আসামী করা হলো। ষড়যন্ত্রমুলক মামলার বিষয়টি আমি আইনগতভাবে মোকাবেলা করব। পলিন আরো বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির এই জনপদে কেউ অপরাজনীতি করতে চাইলে দলের ত্যাগী ও সৎ রাজনীতিকসহ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই কালো অপশক্তিকে প্রতিহত করব।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest