মো. ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: নোভেল ভাইরাস করোনা আতংকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রুগী শূন্য হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে রুগীর ভীরে দাড়ানোর ঠাই থাকতো না, সেখানে আজ শূন্য নিরবতা বিরাজ করছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারনা, সাধারন মানুষের মধ্যে করোনা সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রুগীর পরিমাণ কমেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাপাড়া হাসপাতালের বর্হিবিভাগে কোন রুগীর আনাগোনা নেই। তবে টিকিট কাউন্টারে দুইজন কর্মচারীকে বসে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে যেখানে রুগী ২৫০ হতে ৩০০ পর্যন্ত হতো সেখানে করোনা প্রকোপের কারনে ৫০-৬০ জনের বেশি রুগী হয়না। হাসপাতালের বর্হিবিভাগের খাতা হতে কয়েকদিনের ডাটা খুজে জানা যায়, রবিবার ১৩ জন, সোমবার ৫৯ জন এবং মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৫৬ জন রুগী বিভিন্ন সমস্যাজনিত কারনে ডাক্তার দেখাতে এসেছে। জানা যায়, ঠান্ডা-জ্বর ও গলাব্যাথা জনিত রুগীদের জন্য হাসপাতালের ৫ নং কক্ষে সার্বক্ষণিক একজন ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও জরুরী প্রয়োজনে করোনা ভাইরাস সনাক্ত রুগীর জন্য ৫ টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। এবিষয়ে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জে.এইচ.খাঁন লেলিন বলেন, করোনা ভাইরাস আতংকের কারনে সাধারন মানুষের মধ্যে অনেক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে হাসপাতালে এখন রুগীর পরিমাণ কমে গেছে। তবে এটি অবশ্যই একটি ভালো দিক বলে তিনি মনে করছেন। হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রুগীদের সেবা দেয়ার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তিনি জানান। অপরদিকে হাসপাতালে রুগীর পরিমাণ কমে যাওয়ায় হাসপাতালের আশেপাশের ঔষধ ব্যবসায়ীদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। শহরের ফাতেমা মেডিকেল হল, রাবেয়া ফার্মেসী, তুবা মেডিকেল হল, মা-বাবার দোয়া মেডিকেল হল, আল-মাকসুদ মেডিকেল হল, সালভী মেডিকেল হল, রাকিব মেডিকেল হল ও গাজী মেডিকেল হলসহ বিভিন্ন ঔষধ ফার্মেসীতে গিয়ে রুগী শূন্যতার কারনে তাদের অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। আবার কোথাও কোথাও মাথায় ও কপালে হাত দিয়ে ব্যবসায়ীদের বসে থাকতেও দেখা যায়। শহরের ফেরীঘাট সংলগ্ন গাজী মেডিকেল হলের স্বত্ত্বাধীকারী মো. জসিম গাজী বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সরকার সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই হাসপাতালে রুগীর পরিমাণ খুবই কম। রুগী কম থাকার কারনে আমাদের ব্যবসায়ের অবস্থা খুব খারাপ যাচ্ছে। তবে আমরা যেহেতু সরকারের সাথে একতাপোষণ করে করোনা ভাইরাসের আতংকের মধ্যেও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে রুগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি তাই সরকারও আমাদের প্রতি সু-দৃষ্টি রাখবেন বলে আশা করছি।