সুনামগঞ্জে ইউএনও’র দূরদর্শীতায় রক্ষা পেলো দুই হাওরের ফসল

প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২২

সুনামগঞ্জে ইউএনও’র দূরদর্শীতায় রক্ষা পেলো দুই হাওরের ফসল

শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া ও মইয়ার হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বেড়িবাঁধ শনিবার ভোরে ভেঙে যায়। তবে ইউএনও সাজেদুল ইসলাম এর দূরদর্শিতায় বিকল্প বেড়িবাঁধে নির্মাণ করে রক্ষা পায় দুটি হাওরের বোরো ফসল।
কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, নলুয়া ও মইয়ার হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড মইয়ার হাওরের কলইকাটা নামক জায়গায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। ২৭ মার্চ বাঁধে ফাটল দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের ফাটল বন্ধ করতে কাজ শুরু করে। ২৯ মার্চ আবারও বাঁধ ধসে গেলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে বাঁধটি টেকসই করতে আরও কাজ করা হয়। ৩০ মার্চ বাঁধে আবারও ফাটল দেখা দিলে পাউবোর জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেড়িবাঁধ রক্ষার পরামর্শ করেন। এসময় পাউবোর কর্মকর্তারা আরও কিছু বাঁশ বস্তা দিয়ে বাঁধটি রক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। ১ এপ্রিল থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুল ইসলাম ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা সরিয়ে বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।
কলইকাটা ১৬ নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বিপ্লব দাস বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় নলুয়া ও মইয়ার হাওরের ফসল রক্ষা পেয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে আমরাও দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছি।
চিলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে দুটি হাওরের ফসল তলিয়ে যেতো। পানি উন্নয়ন বোর্ড বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণের পক্ষে ছিল না। কৃষকদের অনুভূতি বুঝতে পেরে ইউএনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১৭ নং প্রকল্পের সভাপতি সাহিবুর রহমান খলিল বলেন, বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণের পাউবো মতামত না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে হাওরকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, আমাদের ধারণা ছিল কলইকাটা এলাকায় নির্মিত বেড়িবাঁধ টিকবে। সেই মোতাবেক বাঁধ টেকসই করতে যা যা করার দরকার করেছি। শনিবার বাঁধটি ভেঙে যায়। তিনি বলেন ইউএনও সাজেদুল ইসলামের প্রস্তাবে বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় বাঁধ ভাঙলেও কোন ক্ষতি হয়েনি। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও এর ব্যয়ভার নির্ধারণ ও বিল পরিশোধ করা হয় নি।
ইউএনও সাজেদুল ইসলাম বলেন, হাওরের ফসল রক্ষায় আমি কোন ঝুঁকি রাখতে চাই নি। তাই যেখানে যা প্রয়োজন তাই করেছি। কলইকাটা বিকল্প বেড়িবাঁধে দুটি হাওরের ফসল রক্ষা পাওয়ায় ভালো লাগছে। তিনি বলেন, হাওরের সবকটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে দিনরাত কাজ চলছে। একইসঙ্গে বাঁধ রক্ষা ও ধান কর্তনের তদারকি করছি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest