ঢাকা ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলাধীন, নজরুল নগর ইউনিয়নের শামছুদ্দিন ওরপে চর্দির পুত্র র্যাব নারায়ণগঞ্জ এ কর্মরত বিজিবি সদস্য দলিল উদ্দিন ওরফে দুলাল। ছোট বেলা থেকেই বখাটে ছিল, স্থানীয় মানুষের হাঁস, মুরগী, গরু,ছাগল, পুকুরের মাছ, নারিকেল ও সুপারি চুরিতে ছিল সিদ্বহস্ত। পারিবারিক অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়, দিনে একবেলা আধাপেট খেয়ে কোনরকম চলে যাচ্ছিল তাদের সাংসারিক জীবন। হঠাৎ করে ২০১৪-২০১৫ সালে তার মামা বিজিবি সদস্য সালাহউদ্দিন এর মাধ্যমে ঘুষের বিনিময়ে বিজিবিতে চাকরি নেয় দলিলউদ্দিন দুলাল। জানা যায়, প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়ে প্রথমেই পল্টি নেয় তারই মামা সালাউদ্দিন এর সাথে।মামা সালাউদ্দিন এর মাধ্যমে চুক্তিকৃত ঘুষের টাকা চাকরি হওয়ার পরও দেয়নি।
বিজিবিতে চাকরি হওয়ার পর ছিচকে চোর ও বখাটে দুলাল হয়ে যায় মহা প্রতারক। বিজিবি ও সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নাম করে ভোলা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।এছাড়াও ঢাকায় আলমগীর নামে এক ভুয়া আদমবেপারির সাথে যোগ-সাজসে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে শত শত মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় আরও লাখ লাখ টাকা। তার ছোট ভাই ইমন মধ্যপ্রাচ্যে থাকলেও ডেনমার্কের মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, ডেনমার্ক ও ইউরোপে পাঠানোর নাম করে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় মানুষের কাছে জমি বিক্রির কথা বলে টাকা নিয়ে ক্রেতাদেরকে দলিল না দিয়ে বছরের পর বছর ঘোরায় এই প্রতারক ও তার পরিবার।
এসব প্রতারিত মানুষ তাদের পাওনা চাইতে আসলে, পাওনাদারদের র্যাব ও বিজিবির ভয় দেখায়। এদিকে স্থানীয় মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এই প্রতারক এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে বাড়ি করার জন্য রড, সিমেন্ট, ইট -বালু বাকিতে এনে পাওনাদারদের বছরের বছর পাওনা পরিশোধ করে না।পাওনাদার বা জিম্মাদারগণ পাওনার জন্য বাড়িতে গেলে, তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায় এবং ওর মা নজুফা কে ব্যবহার করে শ্লীলতাহানির মামলা দেয়ার হুমকি দেয়।
সম্প্রতি ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে উঠতি বয়সী তরুনদের সার্বিয়া পাঠানোর নাম করে হাতিয়ে নেয় প্রায় বিশ লক্ষ টাকা। পাসপোর্টের সাথে ২/৩ লাখ টাকা নিয়ে পর্যায়ক্রমে ৬/৮/১২ মাস পর্যন্ত ঘুরিয়ে ভিসা না দিয়ে, ভুয়া এপ্রুভাল দিয়ে আবারও টাকা চায়।এতে ভুক্তভোগীদের সন্দেহ হলে তারা যাচাই করে দেখেন উক্ত এপ্রুভাল ভুয়া।এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীরা একত্রিত হয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য বিজিবি সদস্য দুলাল ও আলমগীরকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে উক্ত গ্রুপের আরিফ সহ অন্যান্যদের পাসপোর্ট ফেরত দেয়।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের কয়েকজন এই প্রতিবেদককে জানান, অবিলম্বে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা সহ র্যাব ও বিজিবি থেকে তাকে প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে যেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST